সিটি করপোরেশন এলাকায় আজ বুধবার সকাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল আটটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট ও শাহবাগে বেশ কয়েকটি বাস চলতে দেখা গেছে। সকালের দিকে এসব বাসে আসন ফাঁকা রেখে যাত্রীদের বসে থাকতে দেখা গেছে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় আজ সকাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল যথারীতি বন্ধ থাকবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ আরোপের দুই দিনের মধ্যেই সরকার দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাস-মিনিবাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখতে হবে। ভাড়া নির্ধারিত হারের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি হবে।
এর আগে গত ৩১ মার্চ অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস-মিনিবাস চলাচলের নির্দেশনা দেয় সরকার। একই সঙ্গে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু গত সোমবার থেকে বিধিনিষেধ কার্যকর হওয়ার পর সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণপরিবহন চলাচলের বিষয়টি শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে পুনর্বিবেচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবার যাত্রার (ট্রিপ) শুরুতে এবং শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করা, পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার (৬০ শতাংশ বৃদ্ধি) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল যথারীতি বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।