নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : বছরে দুটি উৎসব ও বিজয় দিবস ভাতা পাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। সোমবার (৫ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। আর মন্ত্রীরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে ছিলেন।
সচিব জানান, খেতাবপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উৎসব ভাতা দেয়ার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা বছরে ১০ হাজার টাকা করে দুটি উৎসব ভাতা পাবেন। আর মৃত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার পাবে দুই হাজার টাকা। এ ছাড়া জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় দিবস ভাতা পাবেন ৫ হাজার টাকা করে।
সচিব আরও জানান, বর্তমানে পাঁচ হাজার ২২২ জন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পঙ্গুত্বের মাত্রাভেদে চারটি শ্রেণিতে মাসিক ৪৫ হাজার টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা, ৯৫২ জন মৃত-যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা, পাঁচ হাজার ৮১৬ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের মাসিক ৩০ হাজার টাকা হারে সম্মানী ভাতা এবং বছরে ১০ হাজার টাকা হারে দুটি উৎসব ভাতা দেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ৭ বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারকে মাসিক ৩৫ হাজার টাকা, ৬৮ বীর উত্তম পরিবারকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা, ১৭৫ বীর বিক্রম পরিবারকে মাসিক ২০ হাজার টাকা এবং ৪২৬ বীর প্রতীক পরিবারকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা কোনো উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষ ভাতা এবং খেতাবপ্রাপ্ত জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান বিজয় দিবস ভাতা পান না। এখন থেকে পাবেন।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ১২ হাজার টাকা হারে সম্মানী ভাতার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা হারে দুটি উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষ ভাতা হিসেবে দুই হাজার টাকা এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান বিজয় দিবস ভাতা হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা পান। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।