সরকারি নির্দেশনা মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস-মিনিবাস চালাতে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া নিতে চান মালিকেরা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে আজ সোমবার সরকার গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার নির্দেশনা জারির পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে (বিআরটিএ) বৈঠকে এমন দাবি করেছেন বাসমালিকেরা। রাতেই এই দাবি প্রস্তাব আকারে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছে বিআরটিএ। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
দেশে গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সরকার। দুই মাস সেভাবেই চলেছিল গণপরিবহন। তখনো বাসভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।
বছর গড়িয়ে সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় আজ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এর এক দফায় বলা হয়েছে, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিআরটিএ। এই বৈঠকে বাস-মিনিবাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় বলে বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) সীতাংশু শেখর বিশ্বাস প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্যাহ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সরকার যেই সিদ্ধান্ত দেবে, মালিক-শ্রমিকেরা তা পালন করবেন।
সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য গণপরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। বিআরটিএর সঙ্গে মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে বাস ও মিনিবাসে চালক, সহকারী ও যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাসে রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
গত বছর অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস-মিনিবাস চলাচল করলেও এখন সেভাবে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জিং বিবেচনা করছেন বিআরটিএর কর্মকর্তারা। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, গত বছর যখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তখন সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ ছিল। যাত্রী ছিল সীমিত। এখন অফিস-আদালত পুরোদমে চলছে। যাত্রী চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। এই অবস্থায় অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত কতটা মানা হবে, সেটা নিয়ে সংশয় রয়ে যাচ্ছে।