সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে এবং গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, হিন্দু গ্রামে এই হামলা অশুভ ইঙ্গিত বহন করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে এক ব্যক্তির ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে হিন্দু গ্রামে এই হামলা ইসলামকে বিতর্কিত করারই অপচেষ্টা মাত্র। ফেসবুকে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেয়া ঝুমন দাসকে আগের দিন নিজ সম্প্রদায়ের লোকেরাই পুলিশের হাতে তুলে দিয়ার পরদিন এই হামলা দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতিবৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন নয় কি ?
নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ধ্বংস করতে একটি মহল সাম্রাজ্যবাদী শক্তির এজেন্ট হিসাবে সকল সময় ষড়যন্ত্র অব্যাহ রেখেছে। তারা সাধারন মানুষের ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা অব্যাহত রাখছে। এই সকল ষড়যন্ত্রকারীরা কখনো ধার্মিক হতে পারে না। ইসলাম সকল সময়ই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানের কথাই বলছে।
তারা বলেন, উগ্র ধর্মীয় গোষ্টি এবং উগ্র ধর্মবিদ্বেষী গোষ্টি এই দুইই রাষ্ট্রের জন্য অকল্যাণকর। কোন ধার্মিক মানুষ কখনো উগ্রতাকে পশ্রয় দেয় না, দিতে পারে না। মনে রাখতে হবে, ধর্মের নামে সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীরা ধর্মের শত্রু।
নেতৃদ্বয় শাল্লায় হিন্দু গ্রামে হামলার ঘটনাকে রাজনৈতিভাবে যাতে কেউ অপব্যবহার করতে না পারে সে জন্য সরকার ও দেশের আলেম-উলামাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধিদের আইনের আউতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে আমাদের শপথ নিতে হবে, এক সাগরের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ আমাদের সকলের। আর সকলে ঐক্যবদ্ধভাবেই এ দেশের সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি বজায় রাখবো। কোন অপশক্তিকে হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার সুযোগ দেয়া হবে না।