ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন নয় ‘অপব্যবহার বা দুর্ব্যবহার’ কীভাবে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে সরকার ভাবছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার নিজের নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় নিজ বাড়িতে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আইন সংশোধনের এখনও কোনো চিন্তা ভাবনা নাই। আমরা এই আইন সংশোধনের কোনো চিন্তাভাবনা করছি না। আমরা যেটা করছি, এটার অপব্যবহার এবং দুর্বব্যবহার বন্ধ করা চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে অপব্যবহার এবং দুর্ব্যবহার, অর্থাৎ মিসইউজ অ্যান্ড অ্যাবিউজ যেটা বলা হচ্ছে, সেই মিসইউজ অ্যান্ড অ্যাবিউজ যাতে এটা না করা যায়, সেরকম কী কী ব্যবস্থা করা যায়, সেটা এই ঘটনার আগেই আমি (জাতিসংঘের) অফিস অব দি হিউম্যান রাইটস কমিশনারের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় ছিলাম। এখন আবারও আলাপ আলোচনায় আমরা আছি।
মন্ত্রী বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার সারা পৃথিবীর যে বেস্ট প্র্যাকটিস, এটা আমরা দেখব এবং আমরা একটা তুলনা করব। যদি মিসইউজ অ্যান্ড অ্যাবিউজ এটার বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হয়, সেই ব্যবস্থা আমরা নেব।
কারাগারে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রসঙ্গ ধরে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক, এটা দুঃখজনক। আমি তার পরিবারের কাছে সমবেদনা জানাই এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। কিন্তু তিনি স্বাভাবিকভাবে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। এই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণের সাথে এই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কিন্তু কোনো কানেকশন নাই।
আনিসুল হক বলেন, দেখেন আজকে আমরা এই একটা নতুন জগতে পদার্পণ করেছি, সেটা কী? এই ডিজিটাল জগৎ। এই যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেইসব বিধান আছে, সেগুলি কিন্তু আমাদের দণ্ডবিধিতেও আছে। দণ্ডবিধিতে হচ্ছে ফিজিক্যালি করা, আর ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে হচ্ছে ডিজিটালি করা।
আনিসুল হক বলেন, তাহলে এই অপারাধগুলোতে আছেই, এমন নতুন কোনো টেকনিক্যাল অপরাধ ছাড়া নতুন কোনো অপরাধ কিন্তু আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ভর্তি করি নাই। কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টটাকে যাতে কেউ অপব্যবহার বা দুর্ব্যবহার, মানে মিসইউজ অ্যান্ড অ্যাবিউজ না করতে পারে, সেইজন্য যেইসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এটার মধ্যে নেওয়া যায়, সেগুলোর চিন্তাভাবনা আমরা করছি।