প্রথমে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেও এখন সবাই আগ্রহ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে আসছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার ‘কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমুদিনী কমপ্লেক্স নারায়ণগঞ্জে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে সঙ্গে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য যা যা করা দরকার সরকার তা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই পদক্ষেপের ফলে আজকে করোনাভাইরাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
একসময় টিকা দেওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও এখন আর কোনো সমস্যা নেই, সবাই আগ্রহ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে আসছেন বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলে দিয়েছি ৪০ বছরের ওপরে যারা তারা টিকা পাবে এবং আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে গেলে তারা ফরম পাবেন এবং রেজিস্ট্রেশনও করতে পারবেন। গতকালও প্রায় এক লাখ ৯৪ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৩ কোটি টিকা কিনে রেখেছি। একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সকলকেই আমরা টিকা দেব।’
এ সময় প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহীতা কুমুদিনী হাসপাতালের সিনিয়র নার্স বেরোনিকা ডি কস্তাকেও তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভ্যাকসিন দেওয়া সত্ত্বেও সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, হাত ধুতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। তাহলে আমি মনে করি আমাদের দেশ থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব পুরোপুরি চলে যাবে।’