করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার জন্য বুধবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত দেশে ৮০ হাজার মানুষ নিবন্ধন করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে দেশব্যাপী টিকার মূল কর্মসূচি শুরু হবে এবং ইতিমধ্যেই সব জেলায় টিকার ডোজ পৌঁছে গেছে।
প্রথম ধাপে সারা দেশে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সে হিসেবে টিকা সংরক্ষণে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে সবচেয়ে বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হবে ঢাকা জেলায়। যার সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখের মতো আর চট্টগ্রামে সাড়ে চার লাখ।
প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা কীভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে— বিবিসি বাংলার এ প্রশ্নের উত্তরে খুলনা জেলার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, “শুধু আমার জেলায় না, দেশের প্রতিটি উপজেলায় দুটি করে আইএলআর রয়েছে। এই আইস লাইন্ড রেফ্রিজারেটরে দুই থেকে আট ডিগ্রি তাপমাত্রায় আমরা টিকা সংরক্ষণ করি।”
আরও বলেন, “বাংলাদেশে শিশুদের যত টিকা দেওয়া হয় সব আমরা আইএলআর-এ রাখি। সংরক্ষণ নিয়ে কোন সমস্যা নেই। যেমন আমার আইএলআর আছে ১৬টি। কোভিড ভ্যাকসিন রাখার জন্য দরকার হয়েছে চারটি।”
এ দিকে টিকাদান প্রসঙ্গে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলম জানান, প্রথম দফায় কভিড-১৯ মোকাবিলায় যুক্ত সম্মুখসারির কর্মী ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের গত ২৭ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে নিবন্ধিত করা হচ্ছে। তবে অনলাইনে নিবন্ধন করতে না পারলে টিকাদান কেন্দ্রে গিয়েও তাৎক্ষণিকভাবে নিবন্ধন করা যাবে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া। দেশজুড়ে টিকাদান শুরু হওয়ার পরও এটা চলতে থাকবে। জনগণকে টিকার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে জনপ্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
টিকাদান কর্মসূচি শুরুর দিনেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা টিকা নেবেন বলেও উল্লেখ করেন।