ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা কোভিশিল্ডের প্রয়োগ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে। এদিন প্রথম টিকা নেবেন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা। পরে আরও তিন চিকিৎসক ও দুই নার্সকে টিকা দেয়া হবে।
মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা শেষে প্রথম চালানে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লাখ টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা জানান। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড সেরাম ইনস্টিটিউটেও তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, টিকার প্রতিটি লটের নমুনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকাল এই টিকা দিয়েই শুরু হবে করোনাভাইরাসের টিকাদান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বেলা ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধনের পরপরই করোনা টিকা নেবেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রুনুর পর আরও দুই নার্সকে টিকা দেয়া হবে। একই সঙ্গে এদিন টিকা নেবেন তিন চিকিৎসক।
এদিন রুনু ছাড়া অন্য যারা টিকা নেবেন, তারা হলেন- ফিমেল মেডিসিন ইউনিটের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স মুন্নি খাতুন এবং একই ইউনিটে কর্মরত নার্স রিনা সরকার। তবে শেষ মুহূর্তে কারো কোনো শারীরিক অসুবিধা দেখা দিলে তালিকায় রদবদল হতে পারে।
এই হাসপাতালে চিকিৎসকদের মধ্যে টিকা নেয়ার তালিকার প্রথমে আছেন কনসালট্যান্ট লুৎফর কবির মবিন, শাহরিয়ার আলম। আরেক চিকিৎসকের নাম নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জামিল আহমেদ জানান, বুধবার টিকা প্রয়োগের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসের প্রথম টিকা নিচ্ছেন ডা. ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরী। তিনি টিকা পাচ্ছেন বৃহস্পতিবার।
ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা টিকা কার্যক্রম শুরুর সব প্রস্তুতি শেষ করেছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা দেয়া শুরু হবে। প্রথমে চিকিংসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেয়া হবে। এ ছাড়াও হাসপাতালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসারদের দেয়া হবে ধারাবাহিকভাবে।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আন্ডারগ্রাউন্ডে টিকা দেয়ার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান, টিকা দেয়ার সময় নার্স, স্বেচ্ছাসেবী ও চিকিৎসকরা উপস্থিত থাকবেন। টিকা দেয়ার পরে ওই ব্যক্তিকে ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।