এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় এলো অক্সফোর্ড-অ্যাস্টাজেনেকার করোনা টিকা কভিশিল্ড। টিকাগুলো তৈরি করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে মুম্বাই থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১২৩২ নম্বর ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শাহজালালে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
টিকার চালানটি এসেছে ভারতের উপহার হিসেবে। গ্রহণের জন্য সেখানে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নয়জন কর্মকর্তা।
এ চালানে ২০ লাখ টিকা রয়েছে। সেখান থেকে সংরক্ষণের জন্য টিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) রাজধানীর তেজগাঁও কোল্ডচেইনে রাখা হবে।
এর আগে টিকার নমুনা নেওয়া হবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়। সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই টিকা হস্তান্তর করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব টুইটারে ছবি পোস্ট করে বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর তথ্য জানান।
তিনি লেখেন, পরবর্তী গন্তব্য বাংলাদেশ! ভারতে তৈরি কভিড টিকার চালান বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিল।
হ্যাশট্যাগ হিসেবে যোগ করেন ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ ও ‘প্রতিবেশী প্রথম’।
ভারতের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ভারত বাংলাদেশসহ বন্ধুপ্রতিম ছয় দেশকে টিকা উপহার দিচ্ছে। এর মধ্যে মালদ্বীপ ও নেপালে গতকালই টিকা পৌঁছে যাওয়ার কথা। আজ পৌঁছানোর কথা বাংলাদেশ ও নেপালে। আগামীকাল শুক্রবার মিয়ানমার ও সেসেলেসে টিকা যাওয়ার কথা রয়েছে।
সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি টিকা কিনতে গত নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও সেরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ছয় মাসে এই টিকা বাংলাদেশ সরকারের কাছে পৌঁছে দেবে বেক্সিমকো। প্রতি টিকার দাম পড়ছে ৫ ডলার।