বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, ‘বাঙালি জাতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য মসলিন পুনরুদ্ধারের প্রকল্প নেওয়া হয়েছিলো। মসলিন ফিরে পাওয়া বাঙালি জাতির বড় অর্জন। এটি মুজিববর্ষের অন্যতম অর্জন। বাঙালি জাতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকার মসলিন পুনরুদ্ধার প্রকল্প হাতে নেয়।’
সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্যার জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞান ভবনে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত ‘মসলিন প্রযুক্তি পুনরুদ্ধার প্রকল্প’ শীর্ষক গবেষণার অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে আমার একটু সংশয় ছিল, এর সুতা এত সূক্ষ্ম যে শুরুতে তো তুলাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে গবেষকেরা আমাকে বলেছিলেন, আমরা নিশ্চয়ই করতে পারব। তারা শেষপর্যন্ত সত্যিই সফল হয়েছেন। আশা করি, মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মসলিন তুলে দিয়ে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারব। মসলিনকে এখন বাণিজ্যিক করা যায় কি না সেটি নিয়ে ভাববো। প্রথমে এলিট শ্রেণির মানুষ যাতে পড়তে পারে, একটি ঐতিহ্য যাতে ধরে রাখা যায়। মার্কেটে নিয়ে যেতে চাই এই মসলিনকে। এরপর এটি সাধারণ মানুষ যাতে কিনতে পারে এ জন্য এটি নিয়ে আমার চিন্তা করব। এটি নিয়ে গবেষণা করে আরও কম মূলে দেওয়া যায় কি না সেটি আমার দেখব।’
রাবি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণা প্রকল্পের সদস্য মনজুর হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা।