করোনার মন্দ প্রভাব কাটিয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে জনজীবন। আর্থসামাজিক অঙ্গনে ফিরে আসছে প্রাত্যহিক কর্মচাঞ্চল্য। ২০২১ সাল সব ক্ষেত্রে যে নতুন প্রত্যাশা জাগিয়ে তুলেছে তার অনেকটা জুড়েই রয়েছে রাজনীতি। কেমন হবে নতুন বছরে দেশের রাজনীতির গতিচিত্র? কোন পরিকল্পনা নিয়ে এগোবে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ-বিএনপি? নতুন সময়ের পথযাত্রায় তাদের সামনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো নিয়েই এই আয়োজন
অনুপ্রবেশমুক্ত দল গড়ে তোলাই নতুন বছরে আওয়ামী লীগের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ। এই লক্ষ্যে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সর্বত্র দল থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বের করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। দলের সহযোগী সংগঠনের পাশাপাশি জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত সম্মেলনের মাধ্যমে বিতর্কিত ও অপকর্মে যুক্ত নেতাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রার্থী নির্ধারণের বেলায়ও বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে সর্বত্র স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন, দক্ষ ও ত্যাগী নেতাদের দিয়ে নতুন বছরে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকরা।
কয়েক বছর ধরেই অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন দল থেকে আসা বিতর্কিত ও নানা অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিদের নেতৃত্বে নিয়ে আসার ইস্যুতে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে। এই অনুপ্রবেশকারীদের মাধ্যমে সংঘটিত নানা অপকর্মের দায় মাথায় নিয়ে দল ও সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়ে আসছে। এসব অপকর্মের সঙ্গে দলের নেতৃস্থানীয় কিছু লোকজনের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দলের মধ্যে ‘প্রভাববলয়’ ও ‘নিজস্ব বাহিনী’ গড়ে তোলাসহ নানা অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা বাগিয়ে নিতে দলের একশ্রেণির নেতারা অনুপ্রবেশকারীদের দলে ঠাঁই দিয়েছেন, নেতৃত্বে নিয়ে এসেছেন। ফলে এ নিয়ে প্রায়ই সরকার ও দলকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখেও পড়তে হচ্ছে।
দলের কয়েকজন নেতা আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কঠোর পদক্ষেপের কারণে বিদায়ী বছরে অনুপ্রবেশজনিত এই সংকট কিছুটা হলেও কাটানো গেছে। এরপরও অনুপ্রবেশকারীদের অপকর্মে করোনাকালে বড় ধরনের বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে দলকে। বিশেষ করে করোনা পরীক্ষাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার মোহাম্মদ সাহেদসহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে দলের বিভিন্ন উপ-কমিটির নাম ব্যবহার করে অপকর্ম চালানোর অভিযোগ দল ও সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে। এ অবস্থায় নতুন বছরে অনুপ্রবেশমুক্ত দল গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জই দলের মধ্যে মুখ্য হয়ে দেখা দিয়েছে।
করোনার প্রাদুর্ভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এখনও অনেকটা স্থবির থাকলেও দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ বিষয়ে সময় সময় নির্দেশনা দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের। চলমান পৌরসভা নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই বৈঠকগুলোতে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যেকোনো মূল্যে দলকে অনুপ্রবেশমুক্ত এবং দুর্নীতি ও অনিয়ম থেকে দূরে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে ‘দলভারী’ করতে অন্য দল থেকে আসা বিতর্কিত কাউকে কিংবা স্বাধীনতাবিরোধী ও নানা অপকর্মে যুক্তদের ঠাঁই দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি দলীয় কোন্দল আর দলাদলিতে জড়ালে পৌরসভা নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বদলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার বাস্তব প্রতিফলন এরই মধ্যে ঘটতে শুরু করেছে। কমপক্ষে পনেরোটি পৌরসভার মেয়র পদে নানা অপকর্মে যুক্ত, বিতর্কিত ও দলে অনুপ্রবেশকারী নির্বাচিত মেয়রকে পুনঃমনোনয়ন দেওয়া হয়নি। কাউকে কাউকে প্রথমে দলীয় মনোয়ন দেওয়া হলেও পরে বিষয়টি নজরে আসার পরপরই বাদ দেওয়া হয়েছে।
দলের চলমান কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি পুনর্গঠনকালেও একই নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ঘোষিত সাত-আটটি বিভাগীয় উপ-কমিটির কোনোটিতেই অনুপ্রবেশকারী কারও ঠাঁই মেলেনি। অবিতর্কিত, স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন ইমেজের অধিকারী ও ত্যাগী এমন সব সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞ এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরই এসব উপ-কমিটির সদস্য করা হচ্ছে। ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা উপ-কমিটিগুলো, যেগুলো নতুন বছরের প্রথম মাসের মধ্যেই ঘোষণার কথা রয়েছে সেগুলো গঠনের ক্ষেত্রেও একই ‘ফর্মুলা’ অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের সংশ্নিষ্ট বিভাগীয় সম্পাদক ও নীতিনির্ধারক নেতারা।
এদিকে তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দলীয় হাইকমান্ডও। এ লক্ষ্যে কোন্দলে লিপ্ত নেতাদের নেতৃত্ব থেকে সরিয়েও দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ ১৯ নভেম্বর নরসিংদী এবং ২২ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন বছরেও এই ধারা অব্যাহত রাখা হবে বলে দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এর আগে গত অক্টোবর-নভেম্বরজুড়ে ইতোমধ্যে সম্মেলন হয়ে যাওয়া দলের পাঁচটি সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মৎস্যজীবী লীগ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ ২৫টিরও বেশি জেলা ও মহানগর কমিটি পূর্ণাঙ্গকরণের ক্ষেত্রেও দলের এমন নীতির প্রতিফলন ঘটেছে। এমনকি বিতর্কমুক্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে সব কমিটি যাচাই-বাছাইয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে আটটি বিভাগীয় কমিটিও করে দেওয়া হয়েছিল। নতুন বছরে বাকি জেলা কমিটিগুলোও পূর্ণাঙ্গকরণের ক্ষেত্রেও ত্যাগী, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতারাই প্রাধান্য পাবেন।
শুরু হচ্ছে জেলা ও সহযোগী সংগঠন সম্মেলন কার্যক্রম :করোনাকালীন স্থবিরতা কাটিয়ে এরই মধ্যে ঘর গোছাতে ব্যস্ত রয়েছে আওয়ামী লীগ। নতুন বছরে এই ব্যস্ততা আরও বাড়বে ক্ষমতাসীন দলটির। এই লক্ষ্য পূরণে তৃণমূল পর্যায় থেকে দলকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে চাঙ্গা করে তোলার পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনগুলোসহ দলের সব জেলা ও মহানগরসহ ইউনিট সম্মেলন কার্যক্রম শেষ করে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে দলের সব ইউনিটকেই অনুপ্রবেশমুক্ত করে ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতাদের হাতে সংগঠন পরিচালনার ভার তুলে দেওয়ার কথাও আলোচনায় রয়েছে।
সূত্রমতে, করোনার কারণে স্থবির হয়ে পড়া এই জেলা সম্মেলন কার্যক্রম নতুন বছরের প্রথম দিকেই আবারও শুরুর কথা রয়েছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশজুড়ে দুর্নীতি ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান এবং দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চলাকালেই মেয়াদোত্তীর্ণ এসব জেলা সম্মেলন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। বিদায়ী ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩১টির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরে করোনার প্রভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতার কারণে জেলা সম্মেলন কার্যক্রমও স্থগিত হয়ে যায়। এরপর করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে আসার প্রেক্ষাপটে সর্বশেষ গত ১০ ডিসেম্বর জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি ৪৬টি জেলা সম্মেলন শিগগির শুরু করে নতুন বছরের প্রথমভাগেই শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ সব উপজেলা, পৌরসভা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলন শেষ করে দলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং অনুপ্রবেশ ও বিতর্কমুক্ত সংগঠন গড়ে তোলার জন্য সংশ্নিষ্ট জেলা ও মহানগর কমিটিগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সর্বত্র দলের মধ্যকার সব ধরনের দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের মাধ্যমে দলকে আরও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশনাও রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর।
জানা গেছে, তৃণমূলের এসব সম্মেলন ছাড়াও এরই মধ্যে মেয়াদ শেষ হওয়া অথবা মেয়াদ শেষের অপেক্ষায় থাকা সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনাও চলছে দলের মধ্যে। এসব সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরে মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ- এই ছয়টি সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনেও নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলা হবে। সম্মেলনের পরপরই স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন নেতাদের নিয়ে এসব সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে সব সংগঠনকেই গতিশীল করে তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারক নেতারা।
থাকবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যস্ততাও :গত বছরের শেষভাগ থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী পৌরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং এসব নির্বাচনে দলের বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখাও হবে দলের জন্য নতুন বছরের অন্যতম চ্যালেঞ্জ- এমনটিই মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারক নেতারা। এর আগে বিদায়ী বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ২৪টি পৌরসভা নির্বাচনে (একটিতে ভোটগ্রহণ চলাকালে স্থগিত হয়েছে) আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা ১৮টিতেই জয়ী হয়েছেন। বাকিগুলোর মধ্যে মাত্র দুটিতে বিএনপি এবং তিনটিতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬২টি এবং ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের ৬৪টি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ফেব্রুয়ারি-মার্চে আরও প্রায় দেড়শ পৌরসভা নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। আগামী ধাপগুলো এসব নির্বাচনেও জনগণের সমর্থন নিয়ে প্রথম ধাপের বিজয়ের ধারা ধরে রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। আর সর্বত্র দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সমাজে বিতর্কিত নন এবং গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে- এমন নেতাদেরই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে।
কয়েকজন নেতা বলেন, কেবল পৌরসভা নির্বাচনই নয়, বছরজুড়ে উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের আরও যেসব নির্বাচন হবে তার সবক’টিতেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে চান তারা। এ জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতিও রয়েছে দলের মধ্যে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল হওয়া মাত্রই সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এসব নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে সারাদেশেই দল ও সরকারের প্রতি জনসমর্থন ও জনমত বৃদ্ধির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
অনুপ্রবেশমুক্ত দল গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে দলীয় ফোরামের একাধিক বৈঠক অথবা সংবাদ সম্মেলনে কথাও বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আরও পরিচ্ছন্ন ও স্মার্ট দলে রূপান্তর করতে চান তারা। এ লক্ষ্যে অনুপ্রবেশকারী এবং চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজসহ অপকর্মে যুক্তদের কোনো অবস্থায়ই দলে আনা হবে না। আওয়ামী লীগের পদ-পদবি ব্যবহার করে কাউকে ব্যক্তিগত অপরাধ ও অবৈধ আয়ের উৎস সম্প্রসারণ করতে দেওয়া হবে না।
নতুন বছরে দলের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সমকালকে বলেছেন, যুগ যুগ ধরে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আওয়ামী লীগ এগিয়ে গেছে, যাচ্ছে। গত ১২ বছর ধরে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েও আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরেও তার কোনো ব্যতিক্রম হবে না।
তিনি বলেন, নতুন বছরে দলকে আরও সুসংগঠিত করতে চান তারা। এ জন্য সুযোগসন্ধানীদের স্বার্থ হাসিলের কারণে যাতে দল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দলীয় পদ থেকে বাদ দেওয়ার কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। নতুন বছরও সেটি অব্যাহত থাকবে।