আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ৪০ বছর আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতো বাংলাদেশ। পৃথিবীর সব উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে থাকত বাংলাদেশের নাম।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘বিজয়ের ৪৯ বছরে পাকিস্তানের চেয়েও সমৃদ্ধি, ঐতিহ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে এগিয়ে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় আমু বলেন, ১৯৭২ সালে চট্টগ্রামের বেতবুনিয়ায় বঙ্গবন্ধু যে স্যাটেলাইটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন ৪০ বছর পর এর উৎক্ষেপণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেমে যায় উন্নয়নের চাকা। স্বাধীনতার ৪৯ বছরের মধ্যে ৩৪ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছিল মূলত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাতে। তারা দেশের উন্নয়নের জন্য কিছুই করার চেষ্টা করেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাত্র কয়েক বছরে এই যদি হয় উন্নয়নের চিত্র, তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এখন উন্নয়নশীল কিংবা মধ্যম আয়ের দেশ নয়, পৃথিবীর সব উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে থাকত বাংলাদেশের নাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বলেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নতুন যড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এই চক্রান্ত প্রতিহত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, সম্প্রীতির অন্যতম পীঠভূমি হলো বাংলাদেশ। এটি আমাদের গৌরব। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ হয়েও মাঝে মাঝে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে। এদেশে মানুষ সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের চেতনা এখনো উজ্বল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সব ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও একটি অপশক্তি এখনো মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করছে।
মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, ড. এ কে এম ইয়াকুব হোসেন, ড. বদরুজ্জামান ভুঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন ভুঁইয়া, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা বদিউল আলম বদি, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ মোস্তাক, মাওলানা মহিউদ্দিন ফারুকী, মাওলানা ফজলে রাব্বী, মিজানুর রহমান মিজু, অধ্যক্ষ মোল্লা শহীদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট দুলাল মিত্র, সাংবাদিক রাহাত হুসাইন প্রমুখ।