টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
করোনায় আক্রান্ত হওয়া জেনেও পালিয়ে থাকা এক যুবককে ধরে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানা পুলিশ। এছাড়া তথ্য গোপন করে মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করায় ওই ব্যক্তির এলাকার ১২০ পরিবার লকডাউন ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে উপজেলার সংগ্রামপুরের ঘোনারদেউলি থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার।
তিনি বলেন, ২৪ বছরের ওই যুবক আগে থেকেই কিডনি রোগে আক্রান্ত। চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত ঢাকার শেরেবাংলা নগর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখতে পেলে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠান। একইসঙ্গে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে রেফার্ড করে। কিন্তু এই যুবক সেখানে ভর্তি না হয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। তিনদিন আগে সে জানতে পারে তার করোনা পজেটিভ। তারপর থেকে সে ফোন নাম্বারটি বন্ধ করে দেয়।
গতকাল আইইডিসিআর থেকে এই বিষয়ে ম্যাসেজ দেয়া হলে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে ধরা হয়। রাতেই বিশেষায়িত ব্যবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
অঞ্জন কুমার আরও বলেন, ওই যুবক করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর গোপন করে বিভিন্ন স্থান ও মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেছে। সে কারণে প্রাথমিকভাবে ওই গ্রামের ১২০টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সে আরও কোথায় কোথায় চলাচল করেছে সেসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। পরবর্তীতে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্রঃ ঢাকাটাইমস অনলাইন
এপিএস/১১এপ্রিল/প্রতিনিধি/বিএসটি