বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পূর্ব গুলিশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে প্রধান শিক্ষক বাগান বাড়ি নির্মান করে অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে চলতি বছরের মার্চ মাসের ১২ তারিখ শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে বরগুনা জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসকে নির্দেশ দেয়া হয়। তবে মন্ত্রনালয়ের নির্দেশের নয় মাস পার হলেও অদৃশ্য কারনে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি বরগুনা জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন এর পূর্ব খলিশাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি প্রধান শিক্ষক অবৈধ ভাবে দখল করে বাগানবাড়ী ও ধান চাষ করে ভোগদখল করেন। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে নাসির উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় লিখিত অভিযোগ করেন।
অবিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়। যার অনুলিপি দেয়া হয় বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে। জেলা প্রশাসক ঐ বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য বরগুনা সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। তবে মন্ত্রনালয় থেকে নির্দেশ দেয়ার নয় মাস পার হলেও অদৃশ্য কারণে এখনো কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, স্কুলের সব জমি দখলে নেই। বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারের জন্যা জেলা প্রশাসকের কাছে মন্ত্রনালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।তিনি জমি উদ্ধার করে দিলে আমি জমি বুঝে নেব।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পূর্ব গুলিশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ওই মৌজার এস এ ৪৮ নং খতিয়ানের তিন টি দাগ হতে ৪০ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করা হয়। যার মধ্যে ১৪৯৬ নং দাগে বিদ্যালয়ের মাঠসহ ৮ শতাংশের মত জমির মধ্যে স্কুল রয়েছে। ১৪৯৬ নং দাগে বিদ্যালয়ের বাকি জমিসহ ১৪৯৪ নং দাগে বিদ্যালয়ের জমিতে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক খান ওরফে ভেনু খান দখল করে বাগানবাড়ী নির্মান করছে এবং বিদ্যালয়ের ১৪৮৪ নং দাগের জমিতে কৃষি চাষ করেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে এই জমি ভোগ দখলে আছি, হঠাৎ করে বিদ্যালয়ের জমি আসলো কোথাথেকে? বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বিদ্যালয় নির্মানের শুরুতে কেন বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারন করেনি?
বরগুনা সদর উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের জমির মালিক শিক্ষা অফিস, আমার কাছে যেহেতু সীমানা নির্ধারনের বিষয়টি আসছে এ বিষয়ে ব্যাবস্হা নিব।