ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) প্রথম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাদিয়া আক্তার পিংকিকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে।
একই মামলায় আরো পাঁচ হিজড়াকে আসামি করা হয়েছে। গত বুধবার জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন আরেক হিজড়া বর্ষা মীর। আদালত কোটচাঁদপুর থানাকে মামলাটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন পিংকি। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম হিজড়া জনপ্রতিনিধি।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৭ জুন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি ও তাঁর পাঁচজন সহযোগী মিলে হিজড়া লাবলী ওরফে আক্তারুলকে হত্যা করেন। আক্তারুলের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার নাস্তিপুর গ্রামে। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে। ছয় বছর আগে আক্তারুলকে ফুঁসলিয়ে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হিজড়া বানান পিংকি। এরপর থেকে তিনি কোটচাঁদপুরে ভাড়া বাসায় থাকছিলেন।
তবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি দাবি করেন, ‘হিজড়াদের মধ্যে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব নিরসনে আমি বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু বর্ষা হিজড়া বসতে চায়নি।’
কোটচাঁদপুর থানার ওসি মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘আদালতের কোনো নির্দেশনা পাইনি। শুনেছি মাত্র।’