সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আদালতের গঠিত অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন গতকাল সোমবার হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী এ কথা জানান।
দেশব্যাপী আলোড়ন তোলা এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা অনুসন্ধানে হাইকোর্ট গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন। কমিটিতে আছেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওই রাতেই শাহপরান থানায় মামলা হয়। মামলায় এম সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন। এরপর শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।
অস্ত্র মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে রনি : মাহবুবুর রহমান রনিকে অস্ত্র মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল সকালে সিলেটের মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।