গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের শীর্ষ স্থানীয় নারী অধিকার সংগঠনগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য মতে, দেশে চলতি বছর প্রথম ৯ মাসে ৯৭৫ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২০৮ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সংগঠনগুলোর পক্ষ হতে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে পাশবিক নির্যাতন ও সেই নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় চরম ক্ষোভ ও উত্কণ্ঠা প্রকাশ করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ), আইন ও সালিশকেন্দ্র, নারীপক্ষ, ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স, প্রাজ্ঞস্বর, সিডাব্লিউসিএস এবং উই ক্যান সহ এমজেএফএর সহযোগী সংগঠনসমূহ। সংগঠনগুলো এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অপরাধীদের প্রতি ধিক্কার জানায়।
জেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, অপরাধী দণ্ড থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সংস্কৃতি গড়ে ওঠার কারণে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। ধর্ষণের অপরাধ জামিন অযোগ্য অপরাধ। এরপরেও ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি জামিন পাচ্ছে। আইনের বিভিন্ন ফাঁক গলিয়ে এবং রাজনৈতিক শক্তি খাটিয়ে তারা জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে।
মহিলা পরিষদ মনে করে প্রকৃত ঘটনা আরো অনেক বেশি; সব ঘটনা পত্রিকায় আসে না। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু বলেন, রাজনৈতিক ক্ষমতার ছত্রছায়ায় নারীর ওপর নির্যাতনের ঘটনা দেখে আসছি। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর নিনা গোস্বামী বলেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে ধর্ষণ ও গণর্ধষণের ঘটনা অনেক বেড়েছে।