মোঃ জহুরুল ইসলাম
ইতালির এক ডাক্তার বলেছেন, করোনা যে কত ভয়াবহ তা যদি মানুষ জানতো তাহলে জানালা দিয়ে কেউ উঁকি মারার সাহস পেতনা। করোনা সংক্রামক রোগ আইনঃ অনেকেই জানেনা , আবার কেউ কেউ জেনেও মানতে চাইনা বা মানছে না । হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট,দোকান-পাট , মাঠে-ময়দানে ও বাসা-বাড়িতে বিশিষ্ট জন ,চিকিত্সক ও রাষ্ট্র যে নির্দেশনা দেশের আপামর জনগোষ্ঠীকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন , এদেশের জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই মেনে চলছে না । আমার ভয় এখানেই ।
এদেশের কিছু কিছু মানুষ সামাজিক ও ধর্মীয় আবেগের বশবতী হয়ে নির্দেশনা না মেনে যত্রতত্র ঘোরাফেরা করছে। তাই আমাদের ভয় ও আশঙ্কা লাঘবের একমাত্র অবলম্বন , আমাদের অভিভাবক , রাষ্ট্র । একমাত্র রাষ্ট্রীয় অনুশাসনই পারে তাদের কৌশল , অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে মানুষ যেন এভাবে আর ঘোরাফেরা করতে নাপারে । তাঁর জন্য চরম ভাবে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে । রাস্তা ঘাট , হাট বাজার ,ঘন বসতি এলাকা এ ছাড়া আরও যেসমস্ত জায়গায় প্রয়োজন মনে হয় সে সব জায়গায় জীবনু নাশক ঔষধ স্প্রে করতে হবে । এছাড়া মুদি দোকান ও সব্জির দোকানে কি উপায়ে সংগ্রহ সংরক্ষণ করবে সে বিষয়েও জনগনকে সচেতন করে তুলতে হবে ।
বেশ কয়েক দিন বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতির কারনে করনা সংক্রমনের ভয় থাকায় বাহিরে বের হয়নি তাই ভাবলাম বাহিরে একটু দেখি কি অবস্থা বিরাজমান তাই বের হওয়া । ভোর বেলা ভোরের আলোই আলোকিত হয়ে দলে দলে দলবদ্ধ হয়ে চায়ের দোকানে চা পান করার নামে আড্ডা করে চা পান , অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করার সাথে সাথে নিজেদের সার্থ হাসিল করার কুপ্রবণতার যে চিরাচরিত অভ্যাস তা এখনও বদলাতে পারেনি এবং পারেনি বলেই গন-জমায়েত ঘটিয়ে আত্মপ্রকাশ করার অপপ্রয়াস চালানোর প্রতিফল যে কতটা ভয়াবহ রুপ নিতে পারে তা ভুলে যাচ্ছে ও দেশ ও দেশের মানুষকে এক মহা-বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
অটো রিক্সা-ভ্যান , মোটর বাইক ও ইজিবাইকে যে ভাবে চলাফেরা করছে এর কোনটিতেই সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকছেনা বা রাখছেনা। এদিকে করনা ভাইরাস গান গেয়ে চলেছে – মিলনের দিন বয়ে যায় প্রিয়া বয়ে যায় দিন, ধ্বংসের বাণী হাতে লয়ে আমি উদাসীন। তাই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা , সচেতনতার বিস্তার লাভ ও প্রশাসনিক ভাবে সুফল আনায়নের সকল প্রক্রিয়া কাজে লাগানোর কার্যকরী পদক্ষেপ হাতে নিতে হবে ।
এপিএস/টিআই এন