নিজস্ব প্রতিবেদক এপিএস নিউজ, ১২ মার্চ ২০২০
নির্বাহী্ ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বারা পরিচালিত একই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুটি পৃথক জায়গায় ৩২ মিনিটে ২৩ জন শিশুকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, একই সময়ে দুটি পৃথক জায়গায় থাকা একজন মানুষের পক্ষে মাত্র ৩২ মিনিটে ২৩ শিশুকে সাজা দেওয়া সম্ভব নয়।
বুধবার (১১ মার্চ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের সাজা অবৈধ ঘোষণার রায়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।
আদালত পর্যবেক্ষণে আরো বলেন, একই সাক্ষী বিভিন্ন মামলায় সাক্ষী হওয়ায় তা সাজানো মামলা হিসেবে প্রতীয়মান হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের এই সাজাগুলো যখন বিশ্বের মানুষ দেখবে, তখন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের সাজা দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন আদালত।
গত বছরের ৮ আগস্ট একই সঙ্গে ফার্মগেট ও শ্যামলী শিশুমেলায় দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। এতে পৃথক দুটি মামলায় পৃথক স্থানে ৩২ মিনিটে ২৩ শিশুকে সাজা দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দণ্ডের বিরুদ্ধে জারি করা রুলের সঙ্গে সম্পূরক আবেদন হিসেবে বিষয়টি আদালতে লিখিতভাবে দাখিল করা হয়। সিসিবি ফাউন্ডেশন এর পক্ষে লিখিতভাবে আবেদনটি দাখিল করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দেওয়া দণ্ড ও আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া দণ্ডে সাজা পাওয়া ওই ২৩ শিশুসহ যশোর ও টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অন্তরীণ ১২১ শিশুকে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশে পরে এসব শিশুদের মুক্তি দেওয়া হয়।
এপিএস নিউজ/এন এস/২০২০