নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশব্যাপী করোনা ‘লকডাউন’-এর মধ্যেও চলছে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। দেশ লকডাউন হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, আইনভঙ্গ ও অপরাধ নিবৃত্তির কাজ তো থেমে নেই। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করলে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে- এটাই আইনের বিধান।
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাড়া দেশের আর সব আদালত এখন বন্ধ। সুপ্রিম কোর্টেও চলছে না বিশেষ বেঞ্চের মামলার কার্যক্রম। এমন সর্বাঙ্গ অবসর দেশের বিচারঙ্গন আগে দেখেনি কখনো। ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন ও পরের দিন কোর্ট বন্ধ থাকলেও এক টানা ১০ দিন ছুটি ঘটেনি, যা মহামারি করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ কে কেন্দ্র করে ঘটেছে।
ম্যাজিস্ট্রেটেআদালত খোলা থাকছে বটে, তবে সেখানে সব ধরনের মামলা নয়, জরুরি বিষয়ের সমাধানের কাজ হচ্ছে। আইন অনুযায়ী কোনো মামলার বা সন্দেহভাজন কাউকে আটক করা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটস্থ আদালতে হাজির করতে হয়। সেখানে বিষয়টি শুনানি করে ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে জামিন দেন অথবা কারাগারে পাঠান। তাই বিচারিক আদালতের অন্য সব কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এই দুই বিষয়ের পাশাপাশি জরুরি বিষয়ের কাজ চলছে।
জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ড. রেজাউল করিম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘জরুরি ম্যাটার শুনানির জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খোলা আছে। কোনো মামলার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজিরের বিষয়টি আগেই মতো চালু রাখা হয়েছে। অর্থাৎ আসামির জামিন শুনানি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলবে।’
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব কার্যক্রম বন্ধ আছে। গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ জন্য এই ১০ দিনে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম চলবে না।
এপিএস/করোনা ডিএস