পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজনীন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘এভারেস্ট জয় করার থেকে ঢাকা শহরের যেকোনো রাস্তা পার হওয়া বেশি সাহসের কাজ কারণ তা বেশি বিপজ্জনক।’
নির্মমভাবে কথাটি সত্য হয়ে দেখা দিল রেশমা নাহার রত্নার জীবনে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রত্না এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন। বাংলাদেশের কেওক্রাডং থেকে শুরু করে আফ্রিকার
কিলিমানজারো এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট কেনিয়াসহ দুটি ছয় হাজার মিটারের পর্বতারোহণে সফল হয়েছেন তিনি। তবে পারলেন না হাতিরঝিল থেকে সাইকেলে মিরপুর পৌঁছাতে।
অন্য সব ছুটির দিনের মতোই শুক্রবার সকালে হাতিরঝিলে বন্ধুদের সঙ্গে দৌড়ানোর পর মিরপুরের বাসায় সাইকেল চালিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
২০১৬ সালে বাংলাদেশের কেওক্রাডংয়ের চূড়া স্পর্শ করার মাধ্যমে শুরু হয় রত্নার পাহাড়ে অভিযান। এ পর্বতারোহী ২০১৯ সালে ২৪ আগস্ট ভারতের লাদাখে অবস্থিত স্টক কাঙ্গরি পর্বত (৬১৫৩ মিটার) এবং ৩০ আগস্ট কাং ইয়াতসে-২ পর্বত (৬২৫০ মিটার) সফলভাবে আরোহণ করেন।
এর পর ২০১৮ সালে আফ্রিকার উচ্চতম পর্বত মাউন্ট কিলিমানজারো ও দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বত মাউন্ট কেনিয়া অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
ভারত থেকে পর্বতারোহণ বিষয়ে বেসিক এবং অ্যাডভান্স মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স শেষ করার মাউন্ট এভারেস্ট শীর্ষে আরোহনের স্বপ্ন ছিল তার। দেশে-বিদেশে বেশ কয়েকবার হাফ ম্যারাথনেও অংশ নেন রত্না।