মোঃ রাসেল হোসাইন, বরগুনা সংবাদদাতাঃ ছাত্র রাজনীতি থেকে তৃণমূল পর্যায় থেকে কাজ করতে করতে জাতীয় রাজনীতি প্রবেশ করেন তিনি। ক্ষমতায় থেকেও তিনি যেমন জনগণের পাশে আছেন তেমনি ক্ষমতার বাইরে থাকলেও তিনি জনগণের সাথে ছিলেন। জনগণ তাকে ভালোবাসেন ও তার প্রতি ভরসা পান। আর তাই তিনি ৫বারের নির্বাচিত সাংসদ। বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমনই একজন জননেতা যাকে বিশেষণে বিশেষায়িত করা কঠিন।
আজ সকাল ১১টায় বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি’র নিজ বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকারের সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন “জীবন মানেই চিরন্তর ছুটে চলা পদে পদে বাধা বিপত্তি প্রতিকূলতায় রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। সে ক্ষত মুছে আবার অদম্য উদ্যোমে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাফল্য অর্জন করাই জীবন। মানুষ মরেও অমর হয়ে থাকে তার জীবনের কৃতকর্ম ও সৎ গুণাবলীর মাঝে। আজকের সমাজে এমন মহৎ প্রাণ মানুষের অভাব খুবই পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমি আমার জায়গা থেকে সব সময় জনগণের পাশে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি কেননা বঙ্গবন্ধুই আমাকে শিখিয়েছেন জনগণের কাছে যাওয়ার মাহাত্ম্য। দেশ ও দশের সকল ধরণের সুবিধা অসুবিধা দেখে তাদের সুখে দুংখে পাশে থাকার জন্য কাজ করছি অবিরত। একাজে জনগণসহ সকল স্থানীয় ও জাতীয় নেতাকর্মীও উৎসাহ যোগাচ্ছে। সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা। আমি আমার শেষ দিন পর্যন্ত জনগণের জন্য যেন এমনি করে কাজ করতে পারি এমন দোয়া সবার কাজ থেকে চাই।”
আমাদের সমাজে এখনো এমন কিছু আদর্শবান মানুষ আছেন যারা নীরবে দেশ ও জাতি উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিদানের তারা কিছুই চান না বরং দিতে পেরে তৃপ্ত হন এমনি একজন বরগুনার এমপি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু যিনি তার ভালো কাজ ও মানুষের ভালোবাসায় ৫বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, একবার প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পরপর দুই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিও হয়েছেন।
তাছাড়া প্রায় দুই যুগ বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদর ও দলীয় ও শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারার সুনামও তার রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অনেক রাজনীতিদের উথান-পতন হয়েছে । কিন্তু সার্বিক সমীকরণে এমপি শম্ভু দূরদর্শিতা সততা ধরে রাখতে পেরেছেন। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদ করায় কারাবন্দিও ছিলেন তিনি। তাছাড়া বিভিন্ন সঙ্কটময় মুহূর্তে কয়েকবার জেল জুলুম খেটেছেন। তিনি এসেছেন সেই কিশোর বয়স থেকে হাটি হাটি পায়ে ছাত্ররাজনীতি হতে। তার দেশ ও দশের প্রতি ভালোবাসা সাথে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন জানগণের পাশে থাকতে উৎসাহ জুগিয়েছে বারবার। তিনি মহত্ব আর কর্মের গুনে আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতায় পরিণত হয়েছেন। এছাড়া ৫বার সংসদ সদস্য থাকায় বরগুনা জেলার সাধারণ মানুষের সাথে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক।
হাস্যোজ্জ্বল এই সাংসদ বিভিন্ন এলাকায় কোটি কোটি টাকার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরগুনার উন্নয়নে বরগুনাকে ট্যুরিজিয়াম জোন হিসেবে পরিণত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক জেলায় রূপান্তর করেছেন। করোনা ভাইরাস শুরু পর থেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে বরগুনায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের ও অসহায় দুঃস্থ মানুষদের মাঝে ত্রাণ ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে সবাই উনার প্রতি যে সম্মান আর আস্তার প্রকাশ ঘটান তা সাংবাদিকদের মুগ্ধ করে। জনগণের বিশ্বাস করে ওনার মত দেশ প্রেমিক জনদরদী নেতার দ্বারাই বাংলাদেশ তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে।