স্টাফ রিপোর্টঃ পিকআপ চালক কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে গাজীপুরে শ্রীপুরে আবারও এক ইউপি সদস্যের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী পোশাক শ্রমিক (২০)।
এ ঘটনায় ২৫ জুলাই শনিবার ওই পোশাক শ্রমিক বাদী হয়ে কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কলিম উদ্দিন (৪০) ও তার পিকআপ চালক পারভেজের (২৮) বিরুদ্ধে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার পর কলিম উদ্দিন মেম্বার পলাতক থাকলেও অপর আসামি পারভেজকে নয়াপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ধর্ষক কলিম উদ্দিন শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের প্রয়াত আব্দুল হেকিমের ছেলে এবং পিকআপ চালক পারভেজ একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। কর্মস্থলে যাওয়া আসার পথে পারভেজের সাথে পরিচয় হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নয় মাস আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত শনিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় পারভেজ ওই নারী শ্রমিককে তার বসতবাড়িতে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে কৌশলে ভিকটিমকে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরদিন তার কোনো খোঁজখবর না পেয়ে ভিকটিম পারভেজের অপেক্ষায় তার বাড়িতে অবস্থান করতে থাকেন। পরে ১৯ জুলাই রাত ৮টার দিকে পিকআপ মালিক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন পারভেজের বাড়িতে আসেন। এ সময় তাকে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন ওই নারী শ্রমিক। পরে সবকিছু শুনে পারভেজের বিচার ও তার সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দেবে বলে সেখান থেকে ভিকটিমকে কলিম উদ্দিন মেম্বার নিজের মোটরসাইকেলে তুলে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে গজারি বনে নিয়ে যায়। এরপর বনের ভেতরে পরিত্যক্ত বাড়ির রান্নাঘরে জোরপূর্বক ওই নারী শ্রমিককে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক জানান, মেম্বার কলিম উদ্দিন ধর্ষণ শেষে তাকে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে। এতে রাজি না হওয়ায় তিনি তাকে মারধর করেন। পরে ঘটনাটি কাউকে বললে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান কলিম উদ্দিন।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অশোক কুমার জানান, ধর্ষণের অভিযোগে পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখনো অভিযুক্ত ইউপি সদস্য পলাতক রয়েছে। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।