তালহা জাহিদঃ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ মর্ডানাইজেশন ভবন (করোনা) ওয়ার্ড বিল্ডিং থেকে আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকার ফিটিংস বিফকল, বেসিং কল, বেসিনং স্টপ কল হেড পুশ কমোড ও শাওয়ারসহ ৫০টি বাথরুমের স্যানেটারী মালামাল চুরি হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ৭ দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য ৩ সদস্যের একটি তদন্তের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এমনকি করোনা ওয়ার্ড থেকে এই সময়ে এত টাকার মালামাল চুরি যাওয়া বিষয় নিয়ে গতকাল শনিবার ১১ জুলাই দুপুরে করোনা সচিব একে আলি আজিমের উপস্থিতে জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে করোনা ওয়ার্ডের দায়ীত্বরত ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে করোনার জন্য ঠিকমত আমরা ও চিকিৎসকসহ সেবিকা কেহ অতিরিক্ত ঘোড়া ফেরা করি না। একেই একটা মনে ভয় কাজ করে বর্তমান সময়ের রোগটি নিয়ে সেখানে এখন দেখলাম চোরের কাছে করোনা বলতে কিছুই নাই। তাই এই সুযোগে হয়ত চুরির ঘটনা ঘটতে পারে।
কালাম আরো বলেন, আমরা গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানির সমস্যা সৃষ্টি হলে তখনই বিষয়টি খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায় কলের এ সকল মালামাল চুরি হয়ে গেছে।
সূত্রমতে, বর্তমান করোনা ওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহৃত ভবনটি মর্ডানাইজেশন ভবন হিসাবে বরিশাল গণপূর্ত অধিদপ্তর নির্মাণ করছেন। ইতিমধ্যে করোনা রোগটি দেখা দেয়ার কারনে উক্ত ভবনের নিছ তলা থেকে তৃতিয় তলা পর্যন্ত করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এবং এই কারনে ভবনটি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে মৌখিকভাবে ব্যবহার করার জন্য দেওয়া হয়। যার কারনে সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আলম ১৩৯টি উক্ত ভবনের চাবী ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌস ও আবুল কালামকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, আমরা এই চুরি যাওয়ার ঘটনায় আমাদের সচিবের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সভায় আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে ৩ সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা আগামী ৭দিনের ভিতর তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন আমাদের কাছে দিলে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।