জালিস হোসেন তন্ময়,তিতুমীর কলেজ শাখা: বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব আয়তনের তুলনায় তুলনামূলক অনেক বেশি৷তাই স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই এদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা ভঙ্গুর৷একারনে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে এদেশের অর্থনীতি এখনো বেরিয়ে আসতে পারছে না৷যার ফলশ্রুতিতে এদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে৷ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ ২০১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৬ কোটি ৩৫ লাখ। এর মধ্যে কাজ করেন ৬ কোটি ৮ লাখ নারী-পুরুষ আর ২৭ লাখ বেকার। আর সম্ভাবনাময় কিন্তু সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ পান না এরকম ব্যক্তি (লেবার আন্ডার ইউটিলাইজেশন), যাদের ছদ্ম-বেকার বর্ণনা করা হয়, এরকম মানুষ রয়েছেন প্রায় ৬৬ লাখ। এরা চাহিদা মাফিক কাজ না পেয়ে টিউশনি, রাইড শেয়ারিং, বিক্রয় কর্মী ইত্যাদি খণ্ডকালীন কাজ করেন। বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪.২% হলেও যুব বেকারত্বের হার ১১.৬ শতাংশ। করোনাভাইরাসের কারণে জুন ২০২০ সাল নাগাদ সেটি কয়েকগুণে বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস সংকটে বিশ্বে প্রতি ছয়জনের একজন বেকার হয়েছে আর বাংলাদেশের প্রতি চারজন যুবকের মধ্যে একজন কর্মহীন বা বেকার রয়েছে (২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ)। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই বেকারত্ব বাড়ছে। আইএলও বলছে, মহামারিতে তারা তিনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে বেকার, সেই সঙ্গে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণও ব্যাহত হচ্ছে তাদের। এতে তাদের চাকরিতে প্রবেশ ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। আইএলও-র সংজ্ঞা অনুযায়ী, সপ্তাহে একদিন বা এক ঘণ্টা কাজের সুযোগ না পেলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হয়। সেই হিসাবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সংখ্যা বাস্তবে অনেক বেশি। এ ব্যাপারে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা অবগত থাকা সত্ত্বেও বেকারদের কর্মসংস্থান দূরীকরনে তারা দৃশ্যমান বড় কোনো কর্মসূচি এখনো হাতে নেয়নি৷ এমতাবস্থায় লক্ষ লক্ষ বেকারের প্রাণের দাবী,বেকারদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন৷