নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে ওরা হোস্টেল ও মেস ছেড়ে বাড়ি গিয়েছিল। এ কারণে তারা বাসা ভাড়া দিতে পারেনি। আর এই কারণে বাড়ির মালিক তাদের রুম থেকে সব মালামাল ময়লা ফেলার ডাস্টবিন ও বাড়ির নিচের গ্যারেজে ফেলে দেয়। রাজধানীর কলাবাগানের ৪/এ, ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ট্রিট (রুবী ভবন-কামরুন নাহার) ও পূর্ব রাজাবাজার এলাকার আলিফ হোস্টেলে গত বুধবার রাতে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কলাবাগান থানায় দুইটি মামলা হয়েছে।
এই দুই মামলায় পুলিশ বাড়ির মালিক মুজিবুল হক কাঞ্চন ও আলিফ হোস্টেলের মালিক সৈকতকে খুঁজছে। ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, কলাবাগান থানাধীন ৪/এ, ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ট্রিটের রুবী ভবনের একটি ফ্ল্যাটে ঢাকা কলেজের আট জন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী থাকতেন। সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর তারা বাড়ি চলে যায়। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে ফিরে দেখেন যে, বাড়ির মালিক ফ্ল্যাট থেকে সব জিনিসপত্র ফেলে দিয়েছে। তাদের এসএসসি ও এইচএসসির সনদ, মার্কশিট, ল্যাপটপসহ মূল্যবান জিনিস তারা খুঁজে পাচ্ছে না। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তারা গ্রিন রোডের একটি ডাস্টবিন থেকে কিছু জিনিস খুঁজে পায়।
এ ঘটনায়র পর তারা কলাবাগান থানায় গিয়ে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। ভুক্তভোগী ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সজীব বলেন, ঢাকা শহরের বাড়িওয়ালারা এমন অমানুষ হতে পারে আমার জানা ছিল না। শিক্ষাজীবনের অর্জনকৃত সনদগুলো সব ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার বলেন, বাড়ির মালিককে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। অপর ঘটনা ঘটে পূর্ব রাজাবাজার এলাকার আলিফ হোস্টেলে। ঐ হোস্টেলে করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা ভাড়া দিতে পারেননি। অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গিয়েছে। এ অবস্থায় হোস্টেল মালিক সৈকত ও কেয়ারটেকার খোরশেদ বুধবার রাতে ১৩০ জন শিক্ষার্থীর মালামাল ফেলে দেন। শিক্ষার্থীদের ট্রাঙ্ক ও ভারী মালামাল হোস্টেলের গ্যারেজে ফেলে দেওয়া হয়। আর জামা পোশাক ও বইপত্র পান্থপথের একটি ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। ঐ ডাস্টবিন থেকে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করে। ডাস্টবিনটি কলাবাগান থানা এলাকায় পড়েছে বলে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।