এপিএস নিউজ ডেস্ক
অত্যাধুনিক অস্ত্র সজ্জিত দ্রুত গতিসম্পন্ন চারটি ইন্টারসেপটোর জলযান যোগ হলো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি)। এতে নৌপথে বাহিনীটি আরও শক্তিশালী হলো।
সিলভারক্রাফট ৪০ মডেলের রিইনফোর্সড পলিমারের তৈরি ৪০ ফুট দীর্ঘ ৭৫০ হর্সপাওয়ারের তিন ইঞ্জিনের প্রতিটি জলযান ৩৩ জন সৈন্য ধারণে সক্ষম। যার গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ নটিকাল মাইল বা ১০১ কিলোমিটার। এসব জলযান যেকোনো দুর্যোগ আবহাওয়ায় চলাচলে সক্ষম।
এতে সংযোজিত আছে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান সংযুক্তির সুবিধাসহ উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশন সিস্টেম (RADAR), চতুর্থ প্রজম্মের জিপিএস (GPS), আধুনিক সোনার সিস্টেম (SONAR) সহ অত্যাধুনিক অনেক সরঞ্জাম।
এই জলযানগুলো নিজস্ব অবস্থান হতে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রু জলযানের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। এছাড়া দুইজন মুমূর্ষু রোগী পরিবহনেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিজিবি সদরদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ৪ হাজার ১৮৪ কিলোমিটার স্থল সীমান্তের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে ১৮০ কিলোমিটার এবং মায়ানমারের সঙ্গে ৬৩ কিলোমিটার নৌ সীমান্ত বিজিবি প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। ২০১৯ সাল থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থলভাগের সার্বিক নিরাপত্তায় বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় সীমান্তবর্তী নাফ নদী। আন্তঃদেশীয় অপরাধীদের নিত্য নতুন কৌশল, মানবপাচার, চোরাচালান, ইয়াবাসহ চোরাকারবারীদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি এবং চলমান রোহিঙ্গা পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী সংলগ্ন সীমান্ত কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তাছাড়া দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সাতক্ষীরার নীলডুমুরের সুন্দরবন অংশের গহীন অরণ্যের বাংলাদেশ-ভারত জলসীমান্ত এলাকায়ও একই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশের নৌ সীমান্তে বিশেষ করে মায়ানমার সীমান্তের সেন্টমার্টিন দ্বীপ, নাফ নদী এবং ভারত সীমান্তের নীলডুমুরে ও সুন্দরবনের গহিন অরণ্যের জলসীমান্তে আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক পাচার রোধ ও চোরাচালান বন্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত, অধিক সৈন্য বহনে সক্ষম দ্রুতগতির এই জলযান বিজিবি’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বলে মনে করে বাহিনীটি।
/৩জুন/এসএস/এইচএফ