করোনার সাথে ডেঙ্গু প্রতিরোধেও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে বাংলাদেম ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, করোনার সাথে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলে মশক নিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে আরো বেশী সক্রিয় হতে হবে যাতে এডিস মশা নিধন করা সম্ভব হয়। করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। জনগনকে সচেতন করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিষেধকের চাইতে প্রতিরোধই উত্তম পন্থা।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, জণগণের অসচেতনাকে দোষ দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতার আড়াল না করে সরকারের উচিত করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবেলায় সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনা দূর করা। করোনা মহামারী প্রতিরোধে সবাই যখন ব্যস্ত সময় পার করছে, তখন নীরবে-নিভৃতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ায় অনেকে জ্বর হলেও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না।
নেতৃদ্বয় বলেন, প্রতিবারের মত ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা লিপ সার্ভিসেই সীমাবদ্ধ রেখেছে। এখন যদিও কিছু কিছু কার্যক্রম চোখে পড়ছে, তবে সবকিছু কার্যকর ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে না পারলে পরিণতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তারা আরো বলেন, প্রাণঘাতী করোনার সঙ্গে ডেঙ্গুও প্রতিরোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার কালবিলম্ব না করে এখনই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে জনজীবন রক্ষা করা যাবে না। করোনার পরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটলে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হবে। তাই ঢাকা সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও কাউন্সিলররা এখনই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে আশা করি।