মোঃ রাসেল হোসাইন বরগুনা প্রতিনিধিঃ
পারিবারিক কলহের কারণে দাদীর করা দুটি মিথ্যা মামলায় বাবা, মা ও চাচা-চাচীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায়
বরগুনা সদর উপজেলা ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামে বাড়ি।
বাবা ও চাচা পৈত্রিক সম্পত্তিতে তৈরিকৃত ঘরখানা দিতে অস্বীকার করিলে পরপর দুইটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন আমার দাদী। মামলা দুটি সি.আর ৩৪১/২০২১ ও ৩৭৮/২০২১। প্রথম মামলায় আমার দাদী উল্লেখ্য করেন ১২/০৬/২০২১ইং তারিখ সকাল ১০টার দিকে আমার বাবা, চাচা ও মা তাকে মারধর করে এবং বসত ঘরের মধ্যে থাকা সমস্ত মালামাল নিয়া যায়। মামলাটিতে বিজ্ঞ আদালত আমার বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট এবং আমার মায়ের নামে সমন জারী করেন। দ্বিতীয় মামলাটিতে উল্লেখ করেছেন ২৬/০৬/২০২১ইং তারিখ সকাল ৯টার দিকে আমার মা দাদীকে গাবের লাঠি দ্বারা পিটাইলে একটি পিটান মুখমন্ডলে পরে তাৎক্ষনিক ০২টি দাত পরে যায়। আমার বাবা খুনের উদ্দেশ্যে গলা চাপিয়া ধরে। মামলাটিতে বিজ্ঞ আদালত আমার মা ও বাবা বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট এবং আমি, ছোট চাচি, পাশ্ববর্তী চাচা দুলালের নামে সমন জারী করেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে (১) ২টি মামলার ঘটনার তারিখ ও সময় আমার বাবা ঢাকায় তার কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন সেখান থেকে কিভাবে আমার দাদীকে মেরে আবার ঢাকায় গেলেন? প্রকৃত বিষয় হচ্ছে আমার দাদীর করা প্রথম মামলার তারিখ ২০/০৬/২০২১ইং, মামলায় ঘটনার তারিখ ১২/০৬/২০২১ইং সময় দেখানো হয়েছে সকাল ১০.০০ ঘটিকা। প্রকৃত পক্ষে আমার বাবা ঐদিন ১২/০৬/২০২১ইং তারিখ তার অফিসে সকাল ০৮.০১.২৭ টায় গমন করেন এবং রাত ০৮.৫৮.৩৭ টায় বের হন। দ্বিতীয় মামলার তারিখ ৩০/০৬/২০২১ইং, মামলায় ঘটনার তারিখ দেখানো হয়েছে ২৬/০৬/২০২১ইং সকাল ৯.০০ ঘটিকা। প্রকৃত পক্ষে আমার বাবা ঐদিন ২৬/০৬/২০২১ইং তারিখ তার অফিসে সকাল ০৮.০০.১৮ টায় গমন করেন এবং রাত ১০.৪৮.৩৩ টায় বের হন। উক্ত তথ্য আমার বাবার অফিস থেকে নেওয়া। উক্ত অফিস ডিজিটাল পদ্ধতিতে হাজিরা নেন। যেখানে স্ব-শরীরে উপস্থিত না হলে ডিজিটাল হাজিরা মেশিনে হাজিরা ওঠে না। আমার আরেকটি প্রশ্ন (২) গাবের লাঠি দ্বারা মুখে পিটান দিয়া ২টি দাত ফেলে দিল অথচ আমার দাদীর মুখমন্ডলে একটু আঘাতের ছিটেফোটাও নেই সেটা কিভাবে সম্ভব? প্রকৃত ঘটনা আমার দাদীর বার্ধক্য জনিত কারণে সামনের নিচের দুটি নড়ত। ২৬ তারিখ আমার দাদী ও আমার ফুফু মিলে আমাকে ও আমার মাকে মারধর করে। সেই সময় আমার মায়ের ডান পাশে চোখের নিচে আমার দাদী কামড় বসায়। যার ফলে দাঁত পরে যায়। ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষীদের থেকে আপনারা বিষয়টি নিশ্চত হতে পারেন। হাসির বিষয় আমার জন্ম সনদ অনুযায়ী আমার বসয় মাত্র ১২ বছর ১১ মাস। কিন্তু আমাকে মামলায় ১৮ বছর বয়স নির্ধারণ করে ৪নং আসামী করা হয়েছে। যেহেতু বিজ্ঞ আদালত মামলাগুলো আমলে নিয়েছে সেহেতু আইনানুগভাবে মামলা পরিচালনা করতে হবে। তাই আমার মা স্বেচ্ছায় গত ১৫/০৬/২০২১ইং তারিখ বরগুনা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হইলে বিজ্ঞ আদালত আমার মাকে জেল হাজতে পাঠান। আমার বাবা ঢাকায় প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী করেন। একদিকে ছুটি পাচ্ছেন না অন্যদিকে আমার বাবার নামে দুটি ওয়ারেন্ট। আমি এই দুগ্ধপোষ্য শিশু ভাইটিকে নিয়ে এখন বড়ই অসহায় অবস্থায় আছি। আমার ছোট ভাইটি মায়ের জন্য কান্না করে। যেখানে আমি মা বাবার কাছে লালিত পালিত হচ্ছি সেখানে ভাগ্যের এমন নির্মম পরিহাস মিথ্যার কাছে সত্য হেরে গিয়ে আমাকে দুগ্ধপোষ্য শিশু ভাইটিকে লালন পালন করা লাগছে। আমার দুগ্ধপোষ্য ভাইটি মাকে কাছে না পেলে হয়ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। আপনাদের আরও জানিয়ে রাখি আমার মা ১৫/০৭/২০২১ইং তারিখ জেল হাজতে গেলে পরের দিন ১৬/০৭/২০২১ইং তারিখ আমাদের বসত ঘরের তালা ভেঙে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। বর্তমানে আমি এক আত্মীয়র বাড়িতে আছি। আমার মাকে জেল হাজতে প্রেরণের পরে মায়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আমার কাছে আছে। আমার ফুফু মনিরা আক্তারের কথিত স্বামী মোঃ হারুন আমাকে উক্ত মোবাইলে ফোন করে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতেছে। যাহার প্রমাণ রয়েছে। এমতাবস্থায় বিজ্ঞ আদালতের কাছে আমার মায়ের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি। পাশাপাশি এই জগন্যতম মিথ্যা মামলাগুলো দ্রুততম সময়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের কঠিন বিচারও দাবী করছি।