ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
সারাদেশের মত ঝিনাইদহেও চলছে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম। আদালত পরিচালনায় প্রথম দুইদিনে ঝিনাইদহ জেলা জজ আদালত ৭টি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ ২টি এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অধীনস্থ তিনটি কোর্টে ৫০ টি মামলার জামিন শুনানি নিষ্পত্তি হয়েছে। এতে জামিন পেয়েছেন ২৮ জন আসামি ১৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। এভাবে ৩৫ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা জজ আদালত সূত্রে জানা গেছে বিজ্ঞ জেলা জজ আবু আহসান হাবীব এর আদালতে আজ ৭টি মামলায় জামিন শুনানীর জন্য ধার্য্য থাকে তার মধ্যে ৬টি মামলায় আসামীর জামিন মঞ্জুর হয় এবং অপরটিতে জামিন নামঞ্জুর হয়।
ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা গেছে, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জরুরি জামিন সংক্রান্ত বিষয় সমূহ নিষ্পত্তির জন্য নিম্ন আদালতগুলোতে গত ১০ মে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে নির্দেশনা আসে। নির্দেশনা পাবার পরই শুরু হয় ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম। বিভিন্ন মামলার হাজতি আসামিদের জামিন আবেদন গ্রহণের জন্য ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাসানুজ্জামানের অধীনে তিনটি আদালত গঠন করা হয়।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সোহেল রানা জানান, আদালত গঠনের পর থেকেই আইনজীবীরা জামিন শুনানির আবেদন দাখিল করতে থাকেন। আজ রবিবার ৫০টি জামিন আবেদন করা হয়। ওই দিন ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে ৪৭টি জামিন আবেদনের শুনানি সম্পন্ন হয়। ২৮টি আবেদন মঞ্জুর করে ৩৫ আসামিকে জামিন দেন সংশ্লিষ্ট বিচারকরা। রবিবার ৪৭টি জামিন আবেদন শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। এদিন ২০ মামলায় ৩৫ জন আসামিকে জামিন দেন আদালত।
এপিএস/১৭মে/পিটিআই