দেশে গত মে ও জুন মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে ৮০ শতাংশে ডেলটা ধরন পাওয়া গেছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এমনটিই জানিয়েছে।
মঙ্গলবার আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত মে ও জুন মাসে দেশের প্রায় সব এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সিং করে ৮০ শতাংশের মধ্যে ডেলটা ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে।’
এরমধ্যে ১০ থেকে ১২ শতাংশ সাউথ আফ্রিকার ভেরিয়েন্ট এবং বাকিদের মধ্যে অন্য ক্রিয়াশীল ধরন পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
গত বছরের অক্টোবরে ভারতে প্রথম করোনার ডেলটা ধরন শনাক্ত হয়। ডেলটা ধরনকে শুরুতে ভারতীয় ধরনই বলা হতো। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ধরনটির নতুন নাম দেয় ‘ডেলটা ভেরিয়েন্ট’।
করোনার এ ধরন অতি সংক্রামক। দ্রুত একজনের কাছ থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূলত এ ধরনের কারণে গত এপ্রিল ও মে মাসে ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ নেয়।
গত ৮ মে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটায় (জিআইএসএআইডি) বাংলাদেশে করোনার এই ধরন শনাক্তের খবর দেওয়া হয়। এর নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর। সেখানে বলা হয়, গত ২৮ ও ২৯ এপ্রিল সংগৃহীত নমুনা থেকে ডেলটা ধরন মেলে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে এ ধরন পাওয়া যায়।
তখন আইইডিসিআর সূত্র জানায়, ভারতে ভ্রমণ করে আসা কারও শরীরে এই ভেরিয়েন্ট (ধরন) পাওয়া গেছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ এখন সর্বোচ্চ চূড়ায়। টানা তিন দিন শতাধিক মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে গতকাল ১১২ জন, সোমবার ১০৪ জন এবং রবিবার ১১৯ জন করোনায় মারা গেছেন। গত সাত দিনে শনাক্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ২৮৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৮৬ জন।
নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় ঊনত্রিশ দিনে আরো এক লাখ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় গতকাল দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।