পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে চীন সরকারের উপহারের সিনোফার্মের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (১৯ জুন) সকাল থেকে প্রতি জেলায় অন্তত একটি কেন্দ্রে সিনোফার্মের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দফায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে উপহার হিসেবে চীন থেকে ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা এবং কোভ্যাক্স প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ছয় হাজার ডোজ ফাইজারের টিকা পেয়েছে। ফাইজারের টিকা ঠিক কবে থেকে দেওয়া শুরু হবে, সে সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট করে কিছু না জানা গেলেও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে সিনোফার্মের টিকাদান শুরু হলো। এতে অগ্রাধিকার পাবেন বিদেশগামী কর্মীরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, হাতে থাকা টিকা দেওয়া শেষ হলে দেশের প্রায় তিন শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমএনসিএইচ) ডা. মো. শামসুল হক এ তথ্য জানিয়ে বলেন, যারা আগে নিবন্ধন করেছেন তাদের এই টিকা দেওয়া হবে। এখন নতুন করে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে। নিবন্ধিতদের টিকা দেওয়া শেষ হলেই নতুন করে করে নিবন্ধনের জন্য আহ্বান করা হবে।
তিনি জানান, ১৮ বছরের ওপরের সবাইকে পর্যায়ক্রমে করোনা ভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসার উদ্দেশ্য সামনে রেখে সরকার গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। কিন্তু টিকার স্বল্পতার কারণে ২৬ এপ্রিল সরকার প্রথম ডোজ টিকাদান বন্ধের ঘোষণা দেয়। এর সপ্তাহখানেক পর একই কারণে সারাদেশের সবগুলো কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচিতে প্রভাব পড়ে। এখন পর্যন্ত টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন। তাদের মধ্যে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। এই টিকার দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ।