যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা ছিল পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলেছে এই বৈঠক। বুধবার (১৬ জুন) জেনেভার স্থানীয় সময় বেলা ১টায় বাইডেন ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়।
তাদের এই বহুল প্রতিক্ষীত বৈঠক শত্রুতাপরায়ণ ছিল কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘সিএনএন’কে বলেন, বাইডেনের সঙ্গে তার গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। সংলাপে তারা একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করেছেন। এটাকে কখোনোই শত্রুতাপরায়ণ আলোচনা বলা যায় না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের “রাষ্ট্রীয় অনুশাসন” নামক প্রথম শীর্ষ সম্মেলন তারা পুনরায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আলোচনা শুরু করতে একমত হয়েছেন এবং তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরুর অংশ হিসেবে উভয় দেশের রাষ্ট্রদূতের কাজে ফেরার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান।
অন্যদিকে, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর বাইডেন বলেন, পুতিন ও তিনি দুই দেশের সহযোগিতা এবং পারস্পারিক স্বার্থের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করা নিয়ে কথা বলেছেন।
রাষ্ট্রদূতদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে একমত বাইডেন-পুতিন
হোয়াইট হাউজ সূত্র জানিয়েছিলো, দুই নেতার এই বৈঠক ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা দীর্ঘ হতে পারে। কিন্তু তাদের সেই ধারণা থেকে কম সময়ের মধ্যেই বৈঠকটি শেষ হয়েছে। প্রথমটি হয়েছে দেড় ঘণ্টায়, দ্বিতিয়টি হয়েছে ঘণ্টাখানেক। মাঝখানে ৪৫ মিনিটের বিরতি ছিলো। বৈঠক শেষে দুই নেতা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।