করোনার কারণে বাংলাদেশের জনগণের জীবন-জীবিকাও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। ভাইরাসটি রোধে টলমান বিধিনিষেধ নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন দিয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই জীবন-জীবিকাকে সচল রাখতে হলে আমাদের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আতঙ্কিত না হয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে।’
ঈদের শুভেচ্ছাবার্তায় রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানিয়েছেন বলে বঙ্গভবনের প্রেস উইং থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে।
অসহায় মানুষ যেন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘ঈদুল ফিতর আমাদেরকে আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের শিক্ষা দেয়। আমাদের চারপাশে অনেক অসহায় ও বিপন্ন মানুষ রয়েছে। তারা যেন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে সকলকে সাধ্যমতো চেষ্টা চালাতে হবে। আমি আশা করব, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা অস্বচ্ছল ও অসহায় মানুষের সাহায্যে সামর্থ্য অনুযায়ী অবদান রাখবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ বছর এমন একটা সময়ে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে, যখন গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চরমভাবে বিপর্যস্ত। করোনার কারণে বাংলাদেশের জনগণের জীবন-জীবিকাও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জীবন বাঁচানো প্রথম অগ্রাধিকার হলেও জীবন বাঁচিয়ে রাখতে জীবিকার গুরুত্বও অনস্বীকার্য। ইতিমধ্যে করোনায় বিশ্বব্যাপী ৩৩ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। কোটি কোটি মানুষ কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।’
‘আর এ জন্য দরকার দেশের প্রতিটি নাগরিককে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অর্থাৎ মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। ঈদের আনন্দঘন এই দিনে আমি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘সরকার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসার পাশাপাশি বিপন্ন মানুষের সহায়তায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। করোনার টিকা প্রদান ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারণে টিকা কার্যক্রমে সাময়িক সমস্যা হলেও সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা সংগ্রহের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’