চালক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় অতিরিক্ত স্পিডে বোট চালানোসহ দুঘর্টনার ৮টি কারণ দেখিয়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত দল পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। রবিবার (৯ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তদন্ত দলের প্রধান মো. আজাহারুল ইসলাম মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে দুঘর্টনার ৮টি কারণ, ঘাটের ১৬টি অব্যাবস্থাপনা আর প্রতিরোধে ২৩ দফা সুপারিশ করা হয়।
জানা যায়, গত ৩ মে সোমবার ভোরে ঘাটে নোঙর করে রাখা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সাথে শিমুলিয়া থেকে আসা একটি দ্রুতগতির স্পিডবোটের ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলেই ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন কার্যাদিবসের পর রবিবার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কমিটি।
জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেছেন, তদন্ত দলের কারণগুলো খতিয়ে দেখে ঘাটের অবস্থাপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া যেসব সুপারিশমালা দিয়েছেন, সেসব সরকারের উচ্চ মহলে পাঠানো হবে। যদি ঘাটের শৃঙ্খলা আনতে এসব সুপারিশ কাজে লাগে, তাহলে অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আগেই জানিয়েছে, চালক শাহ-আলমের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের অস্তিত্ব পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটের নৌ-পুলিশের এসআই লোকমান হোসেন বাদি হয়ে শিবচর থানায় ঘাটের ইজারাদার শাহ আলম খান, স্পিডবোটের দুই মালিক চান্দু মিয়া, রেজাউল ও চালক শাহ আলমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আযহারুল ইসলামকে প্রধান করে ছয় সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসন।