অবতরণের অনুমতি না পাওয়ায় ও যাত্রী কম থাকায় চালুর প্রথম দিনেই বিমানের ৭টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। প্রবাসী কর্মীদের কাজে ফেরত যেতে শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে চালু হওয়া ১৪ টি ফ্লাইটের মধ্যে ৭ টিই বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিমানবন্দর কতৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে অবতরণের অনুমতি না নিয়ে কেনো বিমানের সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃপক্ষ (বেবিচক)। বিমানের বিশেষ ফ্লাইটগুলো চলার কথা ছিল সৌদি আরবের শহর রিয়াদ, দাম্মাম ও জেদ্দা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই ও আবুধাবি, ওমানের মাসকাট, কাতারের দোহা ও সিঙ্গাপুরে।
নওগাঁ থেকে আসা বিপাকে পড়া বিমানের এক যাত্রী জানান, বিমানের পক্ষ থেকে কোনো ম্যাসেজ কিংবা তথ্য দেওয়া হয়নি ফ্লাইট বাতিলের বিষয়ে। তিনি আরও জানান, তার ফ্লাইট ছিল ২ টায়। সকালে এয়ারপোর্ট আসার পরেই জানতে পারেন বিমানের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
এর আগে করোনা ভাইরাসের নেগেটিভ সনদসহ যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। তবে লকডাউনের পর প্রথম তিন দিন যাদের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তাদের পরে বিশেষ ব্যবস্থায় অবশ্যই পাঠানো হবে।
ফ্লাইট সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য যেকোনো বিমান সেলস অফিস অথবা বিমানের কল সেন্টারের ০১৯৯০৯৯৭৯৯৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধিনিষেধের আওতায় ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত ১৪ এপ্রিল সকাল ৬ টা থেকে আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সব ধরনের অফিস ও পরিবহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে এই প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
তবে এই সময় সব সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হলেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিল্প কারখানা চালু ও সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।