দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় যে ঢেউ চলছে, সেটা লন্ডন ভ্যারিয়েন্ট (করোনার নতুন ধরন)। এ কারণে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে। অনেকে আক্রান্ত হলেও প্রথমে বুঝতে পারছে না। লাঞ্চ ইনফেকশন হওয়ার পর বুঝতে পারছে যে, করোনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা বলেন, বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার এটিই একমাত্র উপায়।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে শনিবার (৩ এপ্রিল) একদিনে আরো ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ৫ হাজার ৬৮৩ জন। শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে মারা যাওয়া ৫৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে মোট ৯ হাজার ২১৩ জনের মৃত্যু হলো। আর নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬ লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জন হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আরো ২ হাজার ৩৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫ জন হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ২২৭টি ল্যাবে ২৪ হাজার ৫৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ৬৬১টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ লাখ ৮৮ হাজার ৭৬টি।
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৮৫টি। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ আর নারী ২০ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, চার জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং চার জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৩৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিন জন খুলনা বিভাগের, দুই জন বরিশাল বিভাগের এবং এক জন করে মোট দুই জন রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।আরও পড়ুন
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৯ হাজার ২১৩ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৯২৫ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ২৮৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ১৫৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ২৭৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১ হাজার ৩৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪৫৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৮০ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৮ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৫ হাজার ২৬৭ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৬৬৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫০৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৯২ জন খুলনা বিভাগের, ২৭৬ জন বরিশাল বিভাগের, ৩২৭ জন সিলেট বিভাগের, ৩৭৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ২০২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।