লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম পাপুলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দুই-তিন দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান।
সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের আদালতে সাজাপ্রাপ্ত। কুয়েতের আদালতের রায়ের কপি সংসদ সচিবালয়ে পৌঁছেছে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান বলেন, শহীদ ইসলামের সংসদ সদস্যপদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রক্রিয়াটি শেষ হতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে।
শহীদ ইসলামের সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে কি না জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে একজন সংসদ সদস্যকে অযোগ্য ঘোষণার অনেকগুলো বিধান আছে। কোনো ব্যক্তি যদি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং মুক্তি পাওয়ার পর পাঁচ বছর সময় পার না হয়, তবে তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার কিংবা সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না।
জাফর আহমেদ খান বলেন, যেহেতু তার (শহীদ ইসলাম) চার বছরের কারাদণ্ড হয়েছে, সংসদ এর আলোকেই সিদ্ধান্ত নেবে।
একই অনুচ্ছেদে আরও বলা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট এমপির সদস্যপদ খালি নিয়ে যেকোনো বিরোধের ক্ষেত্রে তা শুনানি ও নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে এবং এ ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে, যোগ করেন তিনি।
সিনিয়র সচিব আরও বলেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার সংবিধান ও সংসদের কার্যবিধির সঙ্গে মিল রেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী জানান, তিনি কুয়েত আদালতে শহীদ ইসলামের দোষী সাব্যস্ত হওয়া সংক্রান্ত নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করব এবং সংবিধান ও সংসদের কার্যবিধি অনুযায়ী (সংসদে শহীদ ইসলামের সদস্যপদ বিষয়ে) সিদ্ধান্ত নেব।