স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্য পদে কোনো ব্যক্তি পর পর দুইবারের বেশি থাকতে পারবেন না— এমন সুনির্দিষ্ট বিধান সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় অন্তভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের এক রায়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির বৈধতাসংক্রান্ত রিট আবেদন খারিজ করে গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি এ রায় দেয় হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির।
আপনিও লিখতে পারেন আমাদের ক্যাম্পাস, শিক্ষা পরিবার, সাহিত্য ও মতামত পাতায় । আাপনার লেখার মাধ্যমে দেশ ও জাতি সমৃদ্ধ হোক।
আপনার লেখা পাঠাতে আমাদের ইমেল করুন editor@apsnews24.com এই ঠিকানায়।
লেখার সাথে আপনার পরিচয়, ফোন নাম্বার ও ছবি দিবেন। প্রয়োজনে ফোনও করতে পারেন।
01517856010
আইনজীবী হুমায়ুন জানান, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা-২০০৯-এ (সংশোধিত ২০১২) সভাপতি বা সদস্য কতবার হতে পারবেন, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট বিধান নেই। রিট আবেদনের শুনানির সময় বিষয়টি নজরে এলে গত বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে হাইকোর্ট স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা সদস্য হিসেবে কোনো ব্যক্তি পর পর দুইবারের বেশি হতে পারবেন না বলে অভিমত দেয়।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ফুলগাছা উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন অভিভাবক সদস্য নুরুল হক। আবেদনে ২০১৪ সাল থেকে একই ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্কুলের কমিটিতে একাধিকবার সভাপতি বা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দিলেও সভাপতি বা সদস্য পদে কোনো ব্যক্তি দুইবারের বেশি থাকতে পারবেন না বলে অভিমত দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ পরামর্শ আসে।
অ্যাডভোকেট হুমায়ুন বলেন, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটিসংক্রান্ত ২০০৯ সালের বিধিমালায় সভাপতি বা সদস্য কতবার হতে পারবেন, সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। হাইকোর্টের এই মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি বিধিমালায় অন্তভু©ক্ত করতে সহজ হবে। হাইকোর্ট আইন তৈরি করতে পারে না, পরামর্শ ও অভিমত দিতে পারে। যেহেতু হাইকোর্ট অভিমত দিয়েছে, তাই এটি বাস্তবায়ন হয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।