তালহা জাহিদ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বছরের প্রথম দিনেই নরসিংদীতে চারজন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় তিনজন ও বগুড়ার কাহালুতে সড়কে একজন মোট আটজন প্রাণ হারিয়েছেন।
নরসিংদী:
নরসিংদীতে বাসের ধাক্কায় প্রাইভেটকারের চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী ও ভৈরবের সিমান্তবর্তী এলাকা দরিকান্দি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে এ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বেলাব থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজার:
এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও ডাম্পারের (পিকআপ) মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ডাম্পার চালকসহ ৩ জন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার সকালের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বরইতলী মাদ্রাসা গেইট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বলির পাড়া-মোরার পাড়া আবাসন প্রকল্পের শফিউল আব্বাসের ছেলে ডাম্পার চালক মোহাম্মদ মানিক (২৬), একই আবসন প্রকল্পের বাসিন্দা শাহাব উদ্দিনের ছেলে শ্রমিক মো. তারেকুল ইসলাম বাবু (২২) ও আবু বক্করের ছেলে মোহাম্মদ মমতাজ (২৮)। দুইজন ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং মমতাজকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রামের নেয়ার পথে মারা যায়।
এরছাড়া গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে আরো চারজন যাত্রী। তারা হলেন- সৌদিয়া বাস যাত্রী বান্দরবানের লামা উপজেলার জয়ন্তু বড়ুয়ার মেয়ে নিশীথা বড়ুয়া (১৮), স্বপন বড়ুয়ার ছেলে অতুল বড়ুয়া (২২), মৃত দুদু মিয়ার স্ত্রী সফুরা খাতুন (৭০) ও অংহ্লা মং এর পুত্র হ্লাচিং মং (২৪)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা, বান্দরবানের লামা থেকে চট্টগ্রামমুখী সৌদিয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ও কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে মাটিভর্তি ডাম্পার গাড়িটি মহাসড়কের চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মাদ্রাসা গেইট এলাকায় পৌঁছলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি মহাসড়ক থেকে খাদে ছিটকে পড়ে এবং দুটি গাড়িই দুমড়ে-মুচড়ে যায় ।
মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়াস্থ চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. আনিছুর রহমান জানান, সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় দুইজন মারা গেছে এবং চট্টগ্রামের নেয়ার পথে অপরজন মারা যায়। গুরুতর আহত হয়েছে আরো চারজন যাত্রী। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।
বগুড়া:
কাহালুতে নির্মাণাধীন ব্রিজের গার্ডারের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা লেগে ফাহিমা বেগম (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৩০জন।
শুক্রবার দুপুর ১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফাহিমা বেগম জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বানিয়া চাপড় গ্রামের আফজালের স্ত্রী।
জানা যায়, বগুড়া থেকে সাকিব পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস ক্ষেতলাল যাচ্ছিল। এসময় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের দরগাহাট এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের গার্ডারের সাথে ধাক্কা লেগে যাত্রীবাহী বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই যাত্রবাহী বাসের যাত্রী ফাহিমা বেগমের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাসটিকে আটক করেছে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে বলেন, পলাতক চালক ও হেলপারকে আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে দাফনের জন্য তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।