বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তা আধুনিক সিঙ্গাপুর হয়ে উঠবে। থার্ড টার্মিনাল, মাতারবাড়ি প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ বিশ্বে নতুন স্থান করে নেবে। বিশেষত মাতারবাড়ি হবে আধুনিক সিঙ্গাপুর। সমুদ্র বন্দর যোগাযোগ পাবে নতুন মাত্রা। এসব প্রকল্প ঘিরে বেসরকারি খাতে যে বিশাল উন্নয়ন হচ্ছে তাও বাংলাদেশের জন্য অর্জন।
আজ বুধবার বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নাওকি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের চেহারা বদলে যাবে। ২০২৫ সালে নতুন এক বাংলাদেশ পাবে বিশ্ব। সব ধরনের উন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে।
বসুন্ধরা গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাসভবনে আলাপচারিতার সময় কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও নিউজ টোয়েন্টিফোর টিভির সিইও নঈম নিজাম, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোরের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, নিউজ টোয়েন্টিফোরের হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা আবু তৈয়ব ও বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকার পাশে আড়াইহাজার উপজেলায় এক হাজার একর জমিতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নির্মিত হচ্ছে জাপানিজ ইকোনোমিক জোন। জাপানের বেশ কয়েকটি বড় শিল্পগোষ্ঠী এই ইকোনোমিক জোনে বিনিয়োগ করতে যাবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারির প্রভাব মোকাবেলা করে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য দেখিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। শুধুই অর্থনীতি পুনরুদ্ধার নয়, তার নেতৃত্বে যেসব তাক লাগানো অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে তার অনেক কিছুই দৃশ্যমান হতে চলেছে। বাংলাদেশ পাচ্ছে নতুন রূপ বলে উল্লেখ করেন তিনি।