সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের মামলায় নিহতের স্ত্রী সাবরিনা শাহীদসহ চার আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। অন্য আসামিরা হলেন-আসিফ ইমতিয়াজের শ্বশুর এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদার, শাশুড়ি রাশেদা শহীদ ও শ্যালক সায়মান শহীদ নিশাত।
বুধবার আসামিরা বিচাপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো: ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে আগাম জামিন চাইলে আদালত তাদের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো: ওজিউল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: মনিরুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার আসিফ জিসাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্ত্রী সাবরিনা শাহীদ নিশিতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-আসিফ ইমতিয়াজের শ্বশুর এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদার, শাশুড়ি রাশেদা শহীদ ও শ্যালক সায়মান শহীদ নিশাত। আসিফের বাবা শহিদুল ইসলাম খান বাদী হয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী কলাবাগান থানাকে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর ৯ তলার বারান্দা থেকে কথিত ‘লাফিয়ে
পড়ে’সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদের (৩৩) মৃত্যু হয়। কাঁঠালবাগান এলাকার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি ভবনের নিচ থেকে ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
আসিফের পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসিফ সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে। কাঁঠালবাগান এলাকায় একটি ভবনের নবম তলায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। ওই ভবনের নিচ থেকে ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
আসিফকে প্রথমে গ্রিন লাইফ হাসপাতাল, পরে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
আসিফ ব্যারিস্টারি পাশ করে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করছিলেন। চার বছর আগে সাবরিনা শাহিদ নিশিতার সঙ্গে প্রেমের বিয়ে হয়। বাবা-মা কানাডা থাকায় আসিফ কাঁঠালবাগান শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। তাদের কোনো সন্তান নেই। সম্প্রতি আসিফ স্ত্রীসহ কানাডা সেটেলড হওয়ার জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন।