যৌতুকের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে যশোর আদালতে নীলফামারীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আড়পাড়া গ্রামের ইকরামুল হকের মেয়ে ফারজানা নাসরিন এই মামলা করেছেন।
যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দিন হোসাইন অভিযোগটি আমলে নিয়ে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। আসামি মাসুদ রানা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আফতাব নগর গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী নিজেই।
বাদী ফারজানা নাসরিন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামি মাসুদ রানা পরসম্পদ ও যৌতুক লোভী। ২০১৯ সালের ২১ জুন তিনি শামসি নাহিদ অঞ্চা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে যৌতুদের দাবিতে নির্যাতন করে ওই বছরের ৪ নভেম্বর তালাক দেন। মাসুদ রানার সঙ্গে ফারজানা নাসরিনের মোবাইল ফোনে পরিচয়। পূর্বের বিয়ে গোপন করে মাসুদ রানা পারিবারিকভাবে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় মাসুদ রানাকে ৫ লাখ টাকার মালামাল ও দুই লাখ টাকার স্বর্ণালংকার দেয়া হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই মাসুদ রানা ঢাকার পূর্বাচলে প্লট কেনার জন্য তার স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের ৫ লাখ টাকা মাসুদ রানাকে দেয়া হয়। বাকি ৫ লাখ টাকার জন্য মাসুদ রানা তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করেন। এক মাস আগে মাসুদ রানা শ্বশুরবাড়ি এসে যৌতুকের টাকা না পেয়ে তার স্ত্রীকে মারপিট করে চলে যান। এরপর বেশ কয়েকবার মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন।