এপিএস নিউজ
কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক, তাদের পরিবার এবং নাগরিকদের একটি অংশ আজ ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন।
দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে তারা ঢাকা ছাড়ছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যে বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে আটকাপড়া বিদেশিরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে একে একে তাদের নাগরিকদের বিশেষ বিমান ব্যবস্থায় দেশে ফেরাতে শুরু করেছে।
গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া ও ভুটানের প্রায় সাড়ে ৩০০ নাগরিক আলাদা তিনটি ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়ে যায়। এর মধ্যে ভুটানের ড্রুক এয়ারের দুটি ফ্লাইটে ভুটানের ১২৪ নাগরিক এবং মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সে দেশের অন্তত ২৩০ জন নিজেদের দেশে ফিরে গেছেন।
ঢাকায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দেশে ফেরানোর উদ্দেশে গতকাল দেশটির ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বিকালে বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হন। ভিডিও কনফারেন্সে রাষ্ট্রদূত তাদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার বিষয়ে সেখানে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানান।
দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, ভিডিও কনফারেন্সে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দেশে ফেরার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানানো হয়। অর্থাৎ আজ সোমবার তারা বিশেষ বিমানে দেশে ফিরে যেতে পারবেন বলে জানানো হয়।
করোনা পরিস্থিতিতেও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম সচল রয়েছে। আমেরিকান নাগরিকদের জন্য কসনুল্যার সেবা পুরোপুরি চালু। তবে পরিস্থিতির কারণে সাধারণের ভিসা সার্ভিস বন্ধ রয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ১৬ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্যান্য সব দেশ থেকে যাত্রীদের আসা বন্ধ করে বাংলাদেশ। এরপর ২১ মার্চ থেকে ভারত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান ও সিঙ্গাপুর-এই ১০ দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সরকারের ওই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশগুলোর সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পরিচালনাও বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।
এরপর শুক্রবার আরেক ঘোষণায় যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও ম্যানচেস্টার রুটে চলা দুটি ফ্লাইট আগামী ৩১শে মার্চ থেকে সাত দিনের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণা আসে।
(এপিএস/৩০মার্চ/এসএনটিআই)