মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম বলেছেন, আমাদের কিছু কিছু লোক আছে, কিছু বিচারক আছেন যারা নিজেরাই আজ্ঞাবহ হয়ে যান। কেউ মনে করেন খালেদা জিয়ার মামলাটি আসছে আমি যদি এখানে ভূমিকা না রাখি তাহলে কিসের বিএনপি করতাম। কেউ মনে করেন যে আমি তো আওয়ামী লীগ করতাম, বিএনপির একজনের মামলা আসছে আমি যদি ঠেকিয়ে দিতে না পারি কিসের আওয়ামী লীগার আমি।
তিনি বলেন, এটা নির্ভর করে নিজের মানসিকতার উপর। মাইন্ড সেটআপ যদি কেউ চেঞ্জ না করেন তাহলে হয় না। এজন্য আমরা সবসময় সব বিচারককে সমানভাবে সম্মান করতে পারি না। শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সংস্কার কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, কোষাধ্যক্ষ ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী প্রমুখ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বিচারপতি কেএম হাসান এক সময় বিএনপির পদে ছিলেন। কিন্তু তিনি যখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তখন কেউ বলতে পারবে না তার কোন রকম পক্ষপাতমূলক অবস্থান ছিল। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ যদি স্বাধীন এবং শক্তিশালী না হয়, তাহলে কিন্তু সে দেশের গণতন্ত্র এবং সুশাসন অর্থবহ হবে না। বিচার বিভাগকে কার্যকরভাবে স্বাধীন এবং শক্তিশালী করার ভেতর থেকেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় ভীষণভাবে বিশ্বাস করে। আমার পক্ষে আসলে ঠিক আছে নইলে ঠিক নেই, বিচার বিভাগ নিয়ে এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আইনের প্রশ্নে বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। যখনই কোনও অপরাধীর বিচার করবেন না, তাদের প্রশ্রয় দেবেন, দায়মুক্তি দেবেন, তখন অপরাধীরা ভেবে নেয় অপরাধ করলে কিছুই হয় না, করে যাই। পুলিশ বা র্যাবের দ্বারা যে দলেরই নেতাকর্মীরা ক্রসফায়ারের শিকার হোক না কেন, তাদের (আইনশৃঙ্খলাবাহিনী) জবাবদিহি করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার পর অনেকেই বলেছেন বিচার হবে না। সেই দাম্ভিকতা কিন্তু চূর্ণ হয়েছে।