বরিশাল ব্যুরোঃ বাংলাদেশের অন্যতম মহানগরী বরিশাল । ১৯৮৫ সালে একে প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০০২ সালে “বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন ২০০২” এর মাধ্যমে বরিশাল পৌরসভা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয় এবং ২০০৮ সালে বরিশাল জেলা ভেঙে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন করা হয়।
সেই ১৯৮৫ সাল থেকে এই শহরের ছোট ছোট আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছিলো। প্রশাসন আসে প্রশাসন যায়, রাজনৈতিক দল ও নেতা বদলায় কিন্তু এই বরিশাল শহরের কোতোয়ালী মডেল থানার ১ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত নাম মাত্র হোটেলগুলোতে যে অসামাজিক কার্যক্রম চলে অদৃশ্য হাতের ইশারায় তাতে কোনো ভাটা পড়ে না। যুগের পর যুগ চলছে বাধাহীনভাবে। পুলিশ সকালে রেইড দেয় বিকালে আবার বিকিকিনি শুরু হয়।
অবশেষে বরিশালবাসীর জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হলেন বিএমপি পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম বার। তার সরাসরি নির্দেশনায় সদ্য যোগদানকৃত উপ- পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মঞ্জুর রহমান ও অত্যন্ত পেশাদার কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিমের (ডিবি) এর নেতৃত্বে হোটেলের এই অসামাজিক কার্যক্রম সমূলে বিনাশ করার নতুন মিশন হয়।
এই মিশনে হোটেলের মালিক, ভবন মালিক এবং ম্যানেজারকে আসামী করে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১২(২)/১৩ ধারায় মামলা রূজু শুরু হয় আর উদ্ধাকৃত মহিলাদেরকে সাক্ষী করা হয়।
গত জুলাই প্রথম এই অপারেশন শুরু হয় এবং এ আইনে মামলা হয়। এই এক মামলার পরেই পুরো বরিশাল মহানগরীর যে সকল আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলতো তা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি হোটেল মালিকরা হোটেল তালাবদ্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং ব্যবসা পরিবর্তনের উপায় খুঁজছে। যদিও চুপিসারে এখনো কেউ কেউ ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে বলে গুঞ্জণ আছে। তবে শিঘ্রই তারাও আইনের আওতায় আসবে বলে নিশ্চিত করেছে বিএমপি সদর দপ্তর।
বিএমপি পুলিশ কমিশনার, নবাগত উপ- পুলিশ কমিশনার এবং মোঃ রেজাউল করিম অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কে এমন উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন নগরবাসী। বরিশাল বাসী নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখবে অনাদি- অনন্ত। এমন কামনা করে এই অভিযানের সাফল্য কামনা ও পুলিশের এমন কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকুক এমন প্রত্যাশা করেন তারা।