কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া তিন জঙ্গির মধ্যে থাকা নজিউর ওরফে জোসেফ বিজিবির বরখাস্ত সদস্য। বাংলাদেশের কাশিমপুর জেলে বন্দি হুজি জঙ্গি আল আমিন সম্পর্কে নজিউরের ভায়রা। তার মগজ ধোলাইয়ের পর নজিউর জেএমবির অনুগামী হয়ে পড়ে। বিজিবি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর চলে যায় কলকাতায়। পরিচয় গোপন করে বাড়ি ভাড়া নেয়। গ্রেফতার হওয়া জেএমবির তিন জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানতে পেরেছে কলকাতার এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স)।
সূত্রে খবর, একসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ১৫ জন জেএমবি জঙ্গি কলকাতায় গিয়েছিল। তারা ভারতের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। এসটিএফ সূত্রে খবর, কয়েক জন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িষ্যায় আশ্রয় নিয়েছে। বাকিরা জম্মু-কাশ্মীরের পথে গেছে। নজিউর রহমান ওরফে জোসেফ, মিকাইল খান ওরফে শেখ সাবির এবং রবিউল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে জেএমবি জঙ্গিদের থাকা-খাওয়ার জন্য অর্থের জোগান দিত জামাতের রবারি উইং বা ডাকাতি শাখা। যার প্রধান হুজি লিডার আল আমিন।
স্লিপার সেল তৈরির জন্য কলকাতায় বেশ কয়েকটি ব্যাংক, বড় গয়নার শো রুমে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল ধৃত জঙ্গিদের। ঘটনায় যুক্ত সেলিম মুন্সি নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের ২৬ জুলাই পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আদালত।