তালহা জাহিদঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর রহস্যময় টুনু হত্যামামলার এজাহারভুক্ত এক নাম্বার আসামি মিতু ভাঙ্গরা, পিতা শিব ভাঙ্গরা’র রিমান্ড শেষে যখন থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে ঠিক তখনই এই ধুরন্ধর মিতু ভাঙ্গরা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে মামলাটিকে অন্যদিকে ইউর্টান করানোর তোড়জোড় পায়তারা করার চেষ্টা করছে বলে জনমতে জানা যায়।
আরো জানা যায়, ইতিপূর্বে স্বামী পরিত্যক্তা মিতু ভাঙ্গরা ওরফে মিতু মল্লিক, হিরো মল্লিক’সহ একের পর এক পরুষের সাথে ঘর করার কথা বলে কিছু দিন তাদের সাথে সংসার করে তাদের জমি জমা, টাকা পয়সা তার নামে করে তাদেরকে নিঃশেষ করে আবার অন্য আরাকজনের সাথে বৈধ ও অবৈধ সম্পর্কে জরিয়েছেন, এমন ভাবে প্রতারণা করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী’সহ একাধিক জন।
হারতা বাজার সংলগ্ন ঠাকুর বাড়ি মৃত. নারায়ণ চক্রবর্তী’র সেজো ছেলে নিহত বাসুদেব চক্রবর্তী টুনু ‘র সাথে দির্ঘদিন পরোকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত থাকা অবস্থায়, বাসুদেব চক্রবর্তী বড় ভাই ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবর্তী ও ছোট ভাই বরুণ চক্রবর্তী ‘র নামে এখনকারমতো অনুরুপ ভাবে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। পরে তদন্তে ব্যপারটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
হারতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় পাড়াপ্রতিবেশি ও জনসাধারণ এই চাটুকার ও প্রতারক মিতুর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ থাকতেন বলে জানা যায়, একে পর এক জনকে টার্গেট করে মিথ্যা যৌন হয়রানির অভিযোগ করে মিতু ভাঙ্গরা। আরো জানা যায়, অভিযুক্ত মিতু’র এক বড় ভাই মামলার দাদালি করে তাই কিছু হলেই যৌন হয়রানি ও ধর্ষন মামালা দিয়ে হয়রানি করার ভয় দেখাতেন সকলকে। এমন অনেক প্রতারণা করার একাধিক অভিযোগ আছে স্থানীয় জনসাধারণের কাছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবর্তী জানান, ” দুশ্চরিত্রা মিতু চাটুকারি করে টুনু হত্যার ঘটনা অন্য দিকে ইউর্টান করানোর জন্য এখন থানা পুলিশের উপর যৌন নির্যাতনের মিথ্যা অপপ্রচার সাজিয়েছে এবং ওর ভাই মামলার দালাল এবিষয়ে সহায়তা করছে। অচিরেই এই মিথ্যা অপপ্রচারের অবসান হবে এবং সত্যি উদ্ঘাটন হবে, পরিশেষে মহামান্য আদালতের কাছে, এই চরিত্রহীন নারী মিতুর আইনানুগ কঠোর বিচারের দাবি করে হারতা ইউনিয়ন’সহ উজিরপুরের আপামর জনগন।’
হত্যামামলার এজাহার ভুক্ত আসামি মিতুর এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসান বলেন, “আসামি। মিতুর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। বিজ্ঞ আদালতে আসামি মিতু’র দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হলে থানা পুলিশ আইনানুগ ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। চাটুকারিতা করে এই বানোয়াট গল্প তৈরি করে যাচ্ছে আসামি মিতু ও তার পরিবারে। প্রয়োজনে জেলা পুলিশের উপরোক্ত কর্মকর্তার তদন্তে সঠিক সত্যি প্রকাশিত হবে”