তালহা জাহিদঃ প্রিয় বন্ধুর মধ্যেই ভালবাসার মানুষটিকে খুঁজে পাওয়া খুব স্বাভাবিক। যাকে প্রাণ খুলে সবকিছু বলা যায়, মন খারাপে যার কাঁধে মাথা রেখে কাঁদা যায়, তাঁকে মনও দেওয়া যায় বিশ্বাস করেই। কিন্তু অনেক সময় বন্ধুত্বের খাতিরে মনের সেই গোপন অনুভূতি আর বলে ওঠা হয় না। পাছে বন্ধুতাই যায় ভো-কাট্টা হয়ে! তাহলে উলটোদিকের মানুষটিকেই মনের কথা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রিয় বন্ধু প্রেমিক বা প্রেমিকা হতে চাইছে কি না বোঝা খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়। এই পাঁচটি লক্ষ্য করলেই ধারণা করতে পারবেন অজান্তেই আপনাকে মন দিয়ে বসেছেন বেস্ট ফ্রেন্ডটি।
১. ভালবাসলে তার প্রতি স্বাভাবিকভাবেই মানুষ বেশি যত্নশীল হয়ে পড়ে। সে সময় মতো খেয়েছে কি না, শরীর ভাল আছে কি না, প্রতিনিয়ত এসব খোঁজ রাখতে শুরু করে বন্ধু। যে কোনও প্রয়োজনে আরও বেশি করে তাকে কাছে পেতে শুরু করবেন আপনি। ভিড়ের মধ্যে আপনার হাতটি ধরে অন্যদের থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখারও চেষ্টা করবে সে। এসব প্রবণতা নিঃসন্দেহে প্রিয় বন্ধুর মধ্যেও থাকতে পারে। তবে অতিরিক্ত গুরুত্ব পেলে নিজেই পার্থক্যটা বুঝে যাবেন।
২. বন্ধুমহলে আড্ডা দেওয়ার সময় খেয়াল করুন তো, মাঝেমধ্যেই কি বেস্ট ফ্রেন্ডের চোখে চোখ পড়ে যাচ্ছে? তার মানে অনেকের ভিড়েও সে আপনাকে দেখতেই ব্যস্ত। আর ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসিটা যেন জানান দিচ্ছে বন্ধুদের মধ্যে থেকেও তার মন আপনার স্বপ্নই দেখছে।
৩. আপনি অন্য কোনও বন্ধুর সঙ্গে বেশি কথা বললে কিংবা অতিরিক্ত সময় কাটালে কি গোঁসা হচ্ছে বেস্ট ফ্রেন্ডের? তাহলে কিন্তু আপনাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই পজেজিভ হয়ে পড়েছে সে। আপনাকে অন্য কারও সঙ্গে ফ্লার্ট করতে দেখলে সে কিন্তু আরওই রেগে যাবে। বাকিটা নিশ্চয়ই বুঝে যাবেন!
৪. খেয়াল করুন তো, প্রিয় বন্ধুটি কি পোশাক-আশাক বা হেয়ারস্টাইলের ব্যাপারে আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন? মানে, বিশেষ করে আপনার সামনে বেশ পরিপাটি হয়ে সেজেগুজেই আসছে। আগের সেই ‘কে আর দেখবে’ গোছের বিষয়টা নেই! তার মানে আপনাকে ইমপ্রেস করার ইচ্ছাটাও তার মধ্যে জেগে উঠেছে। আপনার মুখ থেকে প্রশংসা শুনতেও আগ্রহী সে।
৫. প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটাতে কার না ভাল লাগে। কিন্তু ইদানীং কি নানা আছিলায় সে আপনার সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করছে? চাইছে না আশেপাশে অন্য কেউ থাকুক? কোনও তৃতীয় ব্যক্তি এসে বিরক্ত করুক? তাহলে বরং আপনিই জিজ্ঞেস করে ফেলুন, সে কি কিছু বলতে চায়?