শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নিয়োগ বন্ধ করে মেধাবীদের নিয়োগ প্রদানের দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ অভিমত প্রকাশ করেছে যে, স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য পদে দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার ফলে দেশে সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। দলীয় আনুগত্যের ফলে দক্ষ-যোগ্য ও মেধাবীরা পেছনে পরে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।
তারা বলেন, সরকার ও সরকারি দল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নিরঙ্কুশ দখলদারিত্ব নিশ্চিত করতে যোগ্যতা বিবেচনা না করে দলীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে আসছে। ফলে তাদের অনিয়ম, দূর্নীতি ও চরম স্বেচ্ছাচারিতার শত শত অভিযোগ প্রকাশ হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না, হয়ও না।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের ঐতিহত্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্কুল প্রাঙ্গণে কোরবানির পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও এক অভিভাবকের ফোনালাপ প্রমান করে শিক্ষাঙ্গনের করুন অবস্থা। গুরুতর নৈতিক স্খলনের দায়ে সরকারের উচিত ছিল তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা। কিন্তু, এখন পর্যন্ত তা না করে সরকার মুলত অন্যায়ের পক্ষেই অবস্থান গ্রহন করেছেন বলে মনে হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কীভাবে এরকম একজন পেশিশক্তি প্রদর্শনকারী ব্যক্তি অধ্যক্ষের মর্যাদাপূর্ণ গুরুদায়িত্বে নিয়োগ পান ? এর ব্যাখ্যা কী ? ফোনালাপে তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা রীতিমতো নজিরবিহীন। তিনি কেবল এই পদের মর্যাদাকেই ভূলুণ্ঠিত করেননি, এই খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, হাজার হাজার ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সম্মান ও মর্যাদাকেও বিনষ্ট করেছেন।
নেতৃদ্বয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দলীয়করণের লক্ষে দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সচেতন দেশবাসীকে স্বোচ্চার হবার আহ্বান জানান।